পরপর দুদিনে শহরের রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল দুজনের। বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ এক যুবকের শরীরে ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুতের তার। ঘটনাস্থলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
অন্যদিকে বাড়ির সামনেই জমে থাকা জলে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাণ খোয়াল এক কিশোর। এলাকাবাসীর দাবি ওই জল এতটাই ইলেক্ট্রোকিউটেড হয়ে পড়েছে যে, মাছ, সাপও মারা যাচ্ছে।
মাস দেড়েক আগে রাজভবন সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জলের মধ্যে পড়েছিল ফারাক্কার বাসিন্দা বছর ২৫ এর এক যুবক। সেই ছবি রাজ্যবাসীকে চমকে দিয়েছিল। আঙুল উঠেছিল সিইএসইর দিকে। মর্মান্তিক ঘটনায় মৃত যুবকের পরিবার রাজ্যের দেওয়া ক্ষতিপূরণ ফেরৎ দিয়ে দিয়েছিল।
এরপর ফের শহরের বুকে পরপর দুটো ঘটনা। হরিদেবপুরের বাইশ বিঘা রোডে মানিক বারুই নামে বছর ৩৬ এর ওই যুবক বৃহস্পতিবার রাতে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির মধ্যে ওই এলাকা দিয়ে বাইকে চালিয়ে যাচ্ছিলেন৷ বিদ্যুতের খুঁটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই একটি তার ছিঁড়ে এসে তাঁর গায়ে পড়ে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাইক নিয়েই রাস্তার উপরে পড়ে যান মানিক৷ এলাকাবাসীরা ছুটে এসে পুলিশকে খবর দিলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় এলাকা। এরপর উদ্ধার করা হয় যুবকের নিথর দেহ। ওই এলাকা পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের মধ্যে পড়ে৷
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যুতের খুঁটিগুলির ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয় না৷ যার মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
Comments are closed.