রাজারহাটে সিলিকন ভ্যালিতে উইপ্রো, ইনফোসিস জমি নিয়েছে। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রথমে রাজারহাটের সিলিকন ভ্যালিতে ১০০ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু বিনিয়োগে এত সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করায় অতিরিক্ত ১০০ একর জমি দেওয়া হচ্ছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু করে দেবে ওরা। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশি জানালেন, রাজ্যজুড়ে ৬১৭ টি মেলা করবে সরকার। সেখানে সাড়ে ৩ লক্ষ্যের বেশি কর্মসংস্থান হবে।
ভোটমুখী বাংলায় কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ নিল মমতা ব্যানার্জির সরকার।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সিলিকন ভ্যালিতে আরও ১০০ একর জমি বরাদ্দ করা হচ্ছে। উইপ্রো জানিয়েছে সেখানে তারা নতুন প্রকল্প শুরু করবে। ইনফোসিস এই বছরের মধ্যেই ওখানে কাজ শুরু করে দেবে। এর ফলে তথ্য প্রযুক্তিতে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে।
অন্যদিকে করোনা পর্বে লোকসানের মুখে পড়েছেন বহু মানুষ। সরকারের বিভিন্ন কাজ আটকে থাকায় সমস্যা বেড়েছে। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যজুড়ে ৬১৭ টি মেলা, প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। সেখানে কর্মসংস্থান হবে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার মানুষের। ৬১৭ টি মেলায় মোট ব্যবসা হবে ১৫৬ কোটি টাকার। যে সমস্ত ছোট শিল্পী বা ব্যবসায়ী নিজেদের জিনিস সরকারি ছাদের তলায় বেচতে চান, তারা সেই সুযোগ পাবেন। এতে বিপুল কর্মসংস্থানের পাশাপাশি মানুষের রোজগার বাড়বে। কবে কোথায় কী মেলা হবে, তার সম্পূর্ণ নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে ‘বাংলা মোদের গর্ব’ নামের বুকলেটে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জলপাইগুড়িতে স্টার সিমেন্টকে জমি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বস্তুত, জলপাইগুড়ির মোহিতনগরে স্টার সিমেন্টের কারখানা চালু হয়ে গেছে। কিন্তু প্রকল্প সম্প্রসারণের জন্য আরও জমির সুপারিশ করেছিল তারা। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা তাতে সিলমোহর দিয়েছে। সেখানে আরও কর্মসংস্থান হবে।
পাশাপাশি মমতা ব্যানার্জি জানান, মাঝেরহাট ব্রিজের নাম বদলে এখন থেকে জয় হিন্দ ব্রিজ নামে পরিচিত হবে।
এদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগের সপক্ষে নথি নিয়ে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ বাংলাকে অপদস্থ করতে বিজেপি সরকার উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু বাংলাকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। মমতার কথায়, বাংলা বিদ্যা, বুদ্ধি, সংস্কৃতির উপর ভর করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
Comments are closed.