চার দিন কেটে গেল। এখনও আন্দোলনে অনড় কুর্মি সমাজ। ‘রেল রকো’র পাশাপাশি ৬ নম্বর জাতীয় সড়কও অবরুদ্ধ করেছে বিক্ষোভকারীরা। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে লড়ি। একই সঙ্গে শুক্রবারও একাধিক দূর পাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে রেল। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নিত্য যাত্রীরা। আটকে পড়া ট্রাকের চালকরা পর্যাপ্ত খাওয়ার, পানীয় জল পাচ্ছে না বলে অভিযোগ।
এদিন বাতিল হওয়া ৪০টি ট্রেনের মধ্যে রয়েছে, টাটানগর খড়গপুর স্পেশাল, টাটানগর হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস, ঝাড়গ্রাম ধানবাদ এক্সপ্রেস, টাটানগর দানাপুর এক্সপ্রেস, টাটানগর আসানসোল স্পেশাল, হাওড়া বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, চক্রধরপুর টাটানগর এক্সপ্রেস সহ অন্যান্য দূর পাল্লার ট্রেন।
কুর্মি জনজাতিকে তফসিলি জনজাতি এবং কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলির অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে আন্দোলন করছেন তাঁরা। আন্দোনের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকা খেমাশুলি কার্যত অবরুদ্ধ। এদিকে প্রশাসনের তরফেও আন্দোলন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও এখনও কোনও সমাধানের সূত্র বের হয়নি। অবরোধ কতদিন চলে এখন সেটাই দেখার।
Comments are closed.