মৃত্যু হল কিংবদন্তি ফুটবলার তথা কোচ পিকে ব্যানার্জির। দীর্ঘদিন অসুস্থ পিকে ভর্তি ছিলেন বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
প্রদীপকুমার ব্যানার্জিকে ভারতের ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা বলা হয়। যেমন ফুটবলার হিসেবে দাপিয়েছেন ভু-ভারতের ময়দান, তেমনই কোচ হিসেবে বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে কুড়িয়েছেন সম্মান।
১৯৩৬ সালে জলপাইগুড়িতে জন্ম পিকের। সেখানে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে পড়াশোনা। জেলা স্কুলের মাঠেই প্রথম ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় পিকের। সেই শুরু প্রদীপের জয়যাত্রা। জলপাইগুড়ি ছেড়ে পিকের পরিবার চলে যায় জামশেদপুর। পিকে বিহারের হয়ে খেলেন সন্তোষ ট্রফিতে। বয়স তখন ১৫। কলকাতার এরিয়ান ক্লাবে যোগ দেন। তারপর চলে যান পূর্ব রেলের চাকরিতে। সেখান থেকে জাতীয় দল। বাকিটা ইতিহাস।
২০০৪ সালে ফিফা পিকেকে অর্ডার অফ মেরিট সম্মান দেয়। পেয়েছেন অর্জুন, হয়েছেন পদ্মশ্রী। এশিয়ার একমাত্র ফুটবলার হিসেবে পেয়েছেন ফিফার ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড। এত কৃতিত্বের মাঝেও পিকে অনন্য কারণ, ময়দানের ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডানে কোনওদিন না খেলেও ভারতীয় ফুটবলের প্রাণ পুরুষ হয়ে উঠেছেন। আর কোচ হিসেবে দলকে জিতিয়েছেন একাধিক ট্রফি। পেয়েছেন হাজারো সম্মান। কোচ পিকের ভোকাল টনিক ময়দানের কিংবদন্তি।
Comments are closed.