লোকসভা ভোট হোক কিংবা বিধানসভা, সব রাজ্যেই মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। সম্পতি দিল্লি বিধানসভা ভোটেও সেই একই ছবি। গত নির্বাচনের চেয়ে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা বাড়লেও পুরুষ প্রতিনিধিদের তুলনায় তা নিতান্তই নগণ্য।
এবার দিল্লি বিধানসভা ভোটে তিন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ২১০ জন প্রার্থীর মধ্যে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ২৪ জন!
দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ২০১৫ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। গতবার আট জন মহিলাকে নির্বাচনে লড়ার টিকিট দিলেও এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচে। অন্যদিকে দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টি গত নির্বাচনের তুলনায় এবার মহিলা প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়িয়েছে। দিল্লির ৭০ বিধানসভা আসনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা নয়। যা গত বার ছিল ছ’জন। যদিও মহিলা প্রার্থীদের মধ্যে ত্রিনগর নির্বাচনী কেন্দ্রের আপ প্রার্থী প্রীতি তোমর টিকিট পেয়েছেন তাঁর স্বামী জিতেন্দর সিংহ তোমরের মনোনয়নপত্র দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ার পর। ২০১৫ সালের বিধানসভা ভোটের মনোনয়নপত্রে ভুল শিক্ষাগত যোগ্যতা দেওয়ার দায়ে জিতেন্দরের মনোনয়ন খারিজ হয়ে যায়।
এদিকে গতবারের তুলনায় কংগ্রেস অবশ্য দ্বিগুণ করেছে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা। ২০১৫ সালের ভোটে কংগ্রেসের মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ছিল পাঁচ জন। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১০ জন। গত বিধানসভা ভোটে একটি আসনও না পাওয়া কংগ্রেস এবার সব ক’টি কেন্দ্রে নতুন প্রার্থী দিয়েছে। চাঁদনি চক কেন্দ্র থেকে গত ভোটে জয়ী হওয়া অলকা লাম্বা এবার কংগ্রেসের টিকিটে ওই আসন থেকেই লড়ছেন। একইভাবে প্যাটেলনগর কেন্দ্রের গত বারের কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণা তিরাথ এবার লড়ছেন বিজেপির টিকিটে।
তবে আম আদমি পার্টি থেকে বেশ কয়েকজন মহিলা প্রার্থীকে ফের টিকিট দেওয়া হয়েছে। রোহতাস নগর কেন্দ্র থেকে সরিতা সিংহ, পালাম থেকে ভাবনা গৌর, মঙ্গলপুরী থেকে রাখি বিড়লা, শালিমার বাগ থেকে বন্দনা কুমারী এবং আর কে পুরম থেকে পারমিলা টোকাসকে এবারও টিকিট দিয়েছে কেজরিওয়ালের দল।
বিজেপি গতবারের একাধিক মহিলা প্রার্থীকে এবারও টিকিট দিয়েছে। শালিমার বাগ থেকে রেখা গুপ্তা এবং আপের টিকিটে গত নির্বাচনে হেরে যাওয়া কিরণ বৈদ্যকে নির্বাচনী টিকিট দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
Comments are closed.