ভয়াবহ খরা কবলিত মহারাষ্ট্রের মারাঠাওয়াড়ায় উৎপাদন বেড়েছে মদের! খাবার জল নেই, মদ কারখানায় জল কেন? প্রশ্ন
ভয়াবহ খরায় ধুঁকছে মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ এলাকা। মারাঠাওয়াড়ার অধিকাংশ জলাশয় শূন্য। ভূগর্ভস্থ জলস্তর এতটাই নীচে, যে কাজে আসছে না কোনও প্রযুক্তিই। এই অবস্থায় যুদ্ধকালীন তৎপতায় খরা বিধ্বস্ত এলাকায় ট্যাঙ্কারে করে জল পাঠাচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। কিন্তু জানেন কি, নজিরবিহীন খরা সত্ত্বেও মারাঠাওয়াড়ার জেলাগুলিতে লাফিয়ে বাড়ছে মদের উৎপাদন এবং বিক্রি।
অউরঙ্গাবাদকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্রের মারাঠাওয়াড়ায় গড়ে উঠেছে ভারতের মদ শিল্পের সবচেয়ে বড় তালুক। ভারতে বিদেশি মদ তৈরি করা প্রায় সমস্ত সংস্থার কারখানা এখানেই। দেশের বিশাল অংশে মদ সরবরাহ হয় এই এলাকা থেকেই। গত বছর খরা পরিস্থিতি তৈরি হতেই এই সংস্থাগুলোতে জল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। কিন্তু এবার এখনও তেমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আর এই সুযোগেই খরা বিধ্বস্ত এলাকায় লাফিয়ে বাড়ছে মদের উৎপাদন এবং বিক্রি।
মারাঠাওয়াড়া এলাকার সিংহভাগ জেলা ইতিমধ্যেই খরার কবলে। জল নেই পুকুর, দিঘিতে, শুকিয়ে কাঠ সমস্ত জলাশয়, নদী। কমছে মাটির তলায় জলের ভাণ্ডারও। এই অবস্থায় কৃষি বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে ভারত, এমনটাই মনে করছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। ফলে তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ, কিন্তু এক ফোঁটা জল নেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় খরার কবলে পড়া এলাকায় জলের ট্যাঙ্কার পাঠাচ্ছে সরকার। মহারাষ্ট্রের জল সরবরাহ মন্ত্রী বাবনরাও লোনিকার জানিয়েছেন, ৩ রা জুন পর্যন্ত ৬,৪৪৩ ট্যাঙ্কার জল পাঠানো হয়েছে ৫,১২৭ টি গ্রামে এবং ১০,৮৬৭ টি মহল্লায়। কিন্তু সেই জলও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে অভিযোগ খরা কবলিত এলাকার মানুষের।
খরার কবলে এলাকা, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এই অবস্থাতেও মারাঠাওয়াড়ায় মদ তৈরিতে বিরাম নেই। উল্টে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মদ বিক্রির পরিমাণও। মহারাষ্ট্রের আবগারি দফতরের হিসেব অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই গতবারকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এবারের বিক্রির পরিমাণ। রাজ্যের আবগারি মন্ত্রী চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরে সরকার রেকর্ড শুল্ক সংগ্রহ করেছে। তিনি জানান, মদ বিক্রি বাবদ এবছর সরকারের কোষাগারে ঢুকেছে ২৫ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা। যা খরা প্রবন মহারাষ্ট্রে গতবারের চেয়ে সাড়ে ১৬ শতাংশ বেশি। মারাঠাওয়াড়ার ৪ টি জেলা, যেখানে জল সঙ্কট ভয়াবহ আকার নিয়েছে, সেখানে মদ বিক্রি করে সরকার রাজস্ব আদায় করেছে ৪ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। যা গতবারের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, বিয়ার থেকে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ১৪ শতাংশ। বিয়ার থেকে অতিরিক্ত ৬৮৭ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার।
খরার সময় মদ তৈরির কারখানাগুলোতে কেন জল সরবরাহ কমিয়ে, তা খরা কবলিত এলাকায় দেওয়া হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে মারাঠাওয়াড়া। কিন্তু সরকার এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু করেনি। সরকারের দাবি, মোট জলের মাত্র ৫ শতাংশ ব্যবহার হয় মদ শিল্পে।
যে সমস্ত শিল্পে জলকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেই সংস্থাগুলোর কাছে মহারাষ্ট্র সরকার প্রতি হাজার লিটার জলের জন্য দাম নেয় ৫৫ হাজার টাকা। সূত্রের খবর, এক লিটার বিয়ার তৈরি করতে ৭ থেকে ৮ লিটার পরিশ্রুত পানীয় জল প্রয়োজন হয়। ভয়াবহ খরা কবলিত মারাঠাওয়াড়ায় তাই প্রশ্ন উঠছে, খরার সময় কেন মদ তৈরি বন্ধ থাকবে না। ট্যাঙ্কার থেকে জল সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁদের কটাক্ষ, সরকারের কোষাগারের স্বাস্থ্যে নজর আছে, মানুষের স্বাস্থ্যে নেই।
অউরঙ্গাবাদকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্রের মারাঠাওয়াড়ায় গড়ে উঠেছে ভারতের মদ শিল্পের সবচেয়ে বড় তালুক। ভারতে বিদেশি মদ তৈরি করা প্রায় সমস্ত সংস্থার কারখানা এখানেই। দেশের বিশাল অংশে মদ সরবরাহ হয় এই এলাকা থেকেই। গত বছর খরা পরিস্থিতি তৈরি হতেই এই সংস্থাগুলোতে জল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। কিন্তু এবার এখনও তেমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আর এই সুযোগেই খরা বিধ্বস্ত এলাকায় লাফিয়ে বাড়ছে মদের উৎপাদন এবং বিক্রি।
মারাঠাওয়াড়া এলাকার সিংহভাগ জেলা ইতিমধ্যেই খরার কবলে। জল নেই পুকুর, দিঘিতে, শুকিয়ে কাঠ সমস্ত জলাশয়, নদী। কমছে মাটির তলায় জলের ভাণ্ডারও। এই অবস্থায় কৃষি বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে ভারত, এমনটাই মনে করছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। ফলে তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ, কিন্তু এক ফোঁটা জল নেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় খরার কবলে পড়া এলাকায় জলের ট্যাঙ্কার পাঠাচ্ছে সরকার। মহারাষ্ট্রের জল সরবরাহ মন্ত্রী বাবনরাও লোনিকার জানিয়েছেন, ৩ রা জুন পর্যন্ত ৬,৪৪৩ ট্যাঙ্কার জল পাঠানো হয়েছে ৫,১২৭ টি গ্রামে এবং ১০,৮৬৭ টি মহল্লায়। কিন্তু সেই জলও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে অভিযোগ খরা কবলিত এলাকার মানুষের।
খরার কবলে এলাকা, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এই অবস্থাতেও মারাঠাওয়াড়ায় মদ তৈরিতে বিরাম নেই। উল্টে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মদ বিক্রির পরিমাণও। মহারাষ্ট্রের আবগারি দফতরের হিসেব অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই গতবারকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এবারের বিক্রির পরিমাণ। রাজ্যের আবগারি মন্ত্রী চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরে সরকার রেকর্ড শুল্ক সংগ্রহ করেছে। তিনি জানান, মদ বিক্রি বাবদ এবছর সরকারের কোষাগারে ঢুকেছে ২৫ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা। যা খরা প্রবন মহারাষ্ট্রে গতবারের চেয়ে সাড়ে ১৬ শতাংশ বেশি। মারাঠাওয়াড়ার ৪ টি জেলা, যেখানে জল সঙ্কট ভয়াবহ আকার নিয়েছে, সেখানে মদ বিক্রি করে সরকার রাজস্ব আদায় করেছে ৪ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। যা গতবারের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, বিয়ার থেকে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ১৪ শতাংশ। বিয়ার থেকে অতিরিক্ত ৬৮৭ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার।
খরার সময় মদ তৈরির কারখানাগুলোতে কেন জল সরবরাহ কমিয়ে, তা খরা কবলিত এলাকায় দেওয়া হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে মারাঠাওয়াড়া। কিন্তু সরকার এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু করেনি। সরকারের দাবি, মোট জলের মাত্র ৫ শতাংশ ব্যবহার হয় মদ শিল্পে।
যে সমস্ত শিল্পে জলকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেই সংস্থাগুলোর কাছে মহারাষ্ট্র সরকার প্রতি হাজার লিটার জলের জন্য দাম নেয় ৫৫ হাজার টাকা। সূত্রের খবর, এক লিটার বিয়ার তৈরি করতে ৭ থেকে ৮ লিটার পরিশ্রুত পানীয় জল প্রয়োজন হয়। ভয়াবহ খরা কবলিত মারাঠাওয়াড়ায় তাই প্রশ্ন উঠছে, খরার সময় কেন মদ তৈরি বন্ধ থাকবে না। ট্যাঙ্কার থেকে জল সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁদের কটাক্ষ, সরকারের কোষাগারের স্বাস্থ্যে নজর আছে, মানুষের স্বাস্থ্যে নেই।
Comments are closed.