বয়স মাত্র ৮ বছর। দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সে। কিন্তু এই বয়সেই ফুটবল নিয়ে মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সে। হুগলি জেলার রিষড়ার ছোট্ট অনন্যা শর্মা। তাঁর স্বপ্ন দেশের মহিলা ফুটবল দলে ১১ জনের মধ্যে নাম লিখিয়ে নেওয়া। দেশের জার্সি গায়ে মাঠে ছুটে বেড়াবে সে। এই স্বপ্ন দেখে সে। প্রতিদিন সকাল বিকেল এলাকার মাঠে ফুটবল নিয়ে প্র্যাক্টিস করে সে। একপায়ে ফুটবল নিয়ে টানা ২ মিনিট যেভাবে মাঠে ড্রিবলিং করে সে, সেই দেখে এলাকাবাসীর ধারণা একদিন দেশের হয়ে মাঠে নেমে দাপিয়ে বেড়াবে সে।
মেয়েকে স্বপ্ন দেখান অনন্যার বাবা অনিল শর্মা। মেয়ের সঙ্গে মাঠে থাকেন তিনিও। মেয়েকে উৎসাহ দেন প্রতি মুহূর্তে। ছোট থেকেই ফুটবলের প্রতি ঝোঁক ছিল। টিভিতে ফুটবল ম্যাচ দেখলেও অবাক হয়ে দেখত সে। এরপর পায়র কাছে কোনও জিনিস দেখলে সেটা নিয়ে খেলত ছোট্ট অনন্যা। যা দেখে অবাক হয়ে যেতেন বাড়ির সদস্যরা। এরপর একটু বড় হতেই ফুটবলের প্রতি আরও উৎসাহ বাড়তে থাকে অনন্যার।
ছোট্ট মেয়ের পায়ে ফুটবলের শর্ট ছিল নিপুন। যা দেখে মেয়েকে ফুটবল খেলায় উৎসাহ দিতে থাকেন বাবা অনিল শর্মা। মেয়েকে নিয়ে মাঠে যাওয়া শুরু করেন তিনি। একটু একটু করে তৈরি করেন মেয়েকে। বাবার লক্ষ্যও একটাই, মেয়েকে একজন ফুটবলার করে তোলা। কিন্তু দরকার সঠিক প্রশিক্ষন। সঠিক প্রশিক্ষন পেয়ে ভবিষ্যতে আদৌ কি দেশের মহিলা ফুটবল টিমে জায়গা করে নিতে পারবে অনন্যা। সেটা সময়ের অপেক্ষা। যদিও আশাবাদী ৮ বছরের অনন্যার কথায়, ইচ্ছা আর কঠোর পরিশ্রম থাকলে সব কিছু করা সম্ভব।
Comments are closed.