গ্রিন, অরেঞ্জ জোনে সোমবার থেকে বাস সহ চালু একাধিক পরিষেবা, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, দেখে নিন কী সিদ্ধান্ত রাজ্যের
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রের কাছে স্পষ্ট নির্দেশিকা চেয়েছে রাজ্য। তারপর রাজ্য নিজের সিদ্ধান্ত জানাবে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেই নির্দেশিকা এখনও আসেনি তবুও রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী সোমবার থেকে গ্রিন জোনে কিছু পরিষেবা চালু করা যাবে। পাশাপাশি সাফ জানিয়েছেন, কনটেইনমেন্ট এলাকায় কমপ্লিট লকডাউন জারি থাকবে। তিনি বলেন, এখনও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, তাই লকডাউন চলবে।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রিন জোনে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে প্রাইভেট বাস চলতে পারে। সেক্ষেত্রে বাসে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলতে হবে। ২০ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এছাড়াও পাড়ায় পাড়ায় একলা দোকান বা স্ট্যান্ড অ্যালোন দোকান খোলা যেতে পারে। পুলিশকে এ বিষয়ে সার্ভে করার ভার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এলাকায় একটি দোকান খোলার অনুমতি দেবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যাতে সেই দোকানে ভিড় না হয়, দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা চলতে পারে। দোকানের সামনে ভিড় করে কেনাকাটা নিষিদ্ধ।
খুলছে কী কী?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন,
পাড়ার চা ও পানের দোকান খোলা যাবে।
স্টেশনারি দোকান খোলা যাবে।
বইয়ের দোকান খোলা যাবে।
রঙ সামগ্রীর দোকান খোলা যাবে।
বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকান খোলা যাবে।
হার্ডওয়্যার সামগ্রীর দোকান খুলবে।
পাড়ার ডাক্তারখানা খুলবে।
তবে সেলুন ও বিউটি পার্লার খুলছে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেলুন বা পার্লারে দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। তাই আপাতত বন্ধ সেলুন ও পার্লার। গ্রিন জোনে ফ্যাক্টরি ও নির্মাণ শিল্পের কাজ শুরু করা যাবে। দেখতে হবে, কর্মীদের সুরক্ষা ও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং যেন কঠোরভাবে পালন হয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যদি দেখা যায় যে এলাকা গ্রিন থেকে ফের অরেঞ্জ জোনে চলে এসেছে, সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। অরেঞ্জ জোনেও প্রশাসনের সমীক্ষা সাপেক্ষে কিছু পরিষেবা চালু করা যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, বিশেষজ্ঞ কমিটি মে মাসের শেষ পর্যন্ত লকডাউন চালানোর সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সংস্থাগুলোর কাছে রোগী না ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, আপনারা নিজেদের কাজ শুরু করে দিন। এ বিষয়ে অ্যাডভাইজারি জারি করছে রাজ্য। রোগী ফেরানো যাবে না। পাশাপাশি লকডাউনের আওতা থেকে আরও কিছু ট্যাক্সিকে বের করে আনা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সামনে চালকের পাশে একজন এবং পিছনে মাত্র দুজন বসতে পারবেন। বনের উপর নির্ভরশীল মানুষরা নিজেদের সংগ্রহ সরকারের কাছে বিক্রি করবেন। রাজ্য সেগুলো বিক্রি করার ব্যবস্থা করবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।
Comments are closed.