দলত্যাগ বিরোধী আইনে শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলকে চিঠি দিল লোকসভার সচিবালয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দুই সাংসদকে জবাব পাঠাতে বলেছে লোকসভার সচিবালয়।
ভোটের আগে কাঁথি কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীকে দেখা গিয়েছিল অমিত শাহের সভায়। বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলকেও দেখা যায় অমিত শাহের সভায়। কিন্তু সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেননি তাঁরা। এই বিষয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলের দলীয় নেতা সুদীপ ব্যানার্জি। কিন্তু ওম বিড়লার অফিসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোভিডের কারণে নিয়মিত সচিবালয় আসছেন না স্পিকার। সূত্রের খবর ওম বিড়লাকে ফোনও করেন সুদীপ ব্যানার্জি। তৃণমূলের তরফে বারবার আবেদন করার পরেই স্পিকারের সচিবালয়ের তরফে দুই সাংসদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ভোটের আগে বিজেপির সভায় গেলেও আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে নগ দেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী। কিন্তু তৃণমূলের দাবি শিশির অধিকারীর মুখে একাধিকবার শোনা গেছে দলবিরোধি কথাবার্তা। অপরদিকে বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপির সদস্য নন।
জানা গেছে, শিশির অধিকারী ও সুনীল মন্ডলের সাংসদ পদ বাতিলের জন্য রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এই চিঠি প্রসঙ্গে শিশির অধিকারী জানিয়েছেন, আমার কাছে এখনও কোনও কাগজ এসে পৌঁছয়নি। তবে লোকসভার স্পিকার যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন।
Comments are closed.