বুধবার থেকে শুরু হল রাজ্যের মধ্যে দূরপাল্লার সরকারি বাস চলাচল। পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, লকডাউনের মধ্যেও বেশ কিছু রুট দিয়ে বাস পরিষেবা চালু করা হচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (এসবিএসটিসি) সূত্রে খবর, লকডাউনের আগে পর্যন্ত তারা প্রতিদিন ৩৫৭ টি রুটে বাস চালাত। বাস চলত প্রায় ৭৩০টি। এর মধ্যে বুধবার থেকে ৮৩ টি রুটে বাস চালানো হচ্ছে। এই রুটগুলির মধ্যে রয়েছে কলকাতা থেকে সিউড়ি, আসানসোল, দিঘা, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বর্ধমান সহ নানা গন্তব্য। এছাড়া দুর্গাপুর, আসানসোল সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি জায়গা থেকেও বাস পরিষেবা চালু হয়েছে।
প্রতিটি বাসেই সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে পরিষেবা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পরিবহণ দফতর। বলা হয়েছে, যে বাসগুলি চলছে তা নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা হবে এবং চালক ও কন্ডাক্টরদের সুরক্ষাবিধি মেনে চলবেন।
শুভেন্দু অধিকারীর দফতর জানিয়েছে, আগামী দিনে যাত্রী-সংখ্যা বিচার করে পর্যায়ক্রমে রুটের সংখ্যা আরও বাড়ানো হলেও কনটেইনমেন্ট জোনে বাস চলবে না।
এদিকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (এনবিএসটিসি) সূত্রে খবর, লকডাউনের আগে পর্যন্ত তারা প্রতিদিন ২০০টি রুটে প্রায় ৬০০ করে বাস চালাত। সে জায়গায় বুধবার থেকে ১০০-র বেশি রুটে বাস চালাচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রুট হল, শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা, মালদহ থেকে কলকাতা, বহরমপুর থেকে কলকাতা, বালুরঘাট থেকে কলকাতা, কোচবিহার থেকে দিনহাটা, তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা এবং আলিপুরদুয়ার।
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে শহর ও শহরতলিতেও বেশি রুটে বাস চলাচল হচ্ছে। লকডাউনের মধ্যে মাত্র ১৫টি রুটে বাস চলছিল। বুধবার থেকে প্রায় ৪০টি রুটে বাস চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে টালিগঞ্জ থেকে মধ্যমগ্রাম, বিবাদী বাগ-মন্দিরতলা, ঘোলা-হাওড়া, বারাকপুর-হাওড়া, পার্ক সার্কাস-ডানকুনি, রাজাবাজার-নবান্ন, বারাসত-জোকা, টালিগঞ্জ করুণাময়ী-নিউটাউন, উল্টোডাঙা- সাপুরজি, হাওড়া স্টেশন-বালিগঞ্জ, হাওড়া-যাদবপুর, পর্ণশ্রী-নিউ টাউন, গড়িয়া-হাওড়া, ডানলপ-হাওড়া, বাগবাজার-গড়িয়া, বারাকপুর-করুণাময়ী ইত্যাদি।
তবে নিগমগুলি পরিষেবা বাড়ালেও বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলির অবস্থান একই রয়েছে। তাদের বক্তব্য, যাত্রী-সংখ্যা কমাতে হলে আগের ভাড়ায় পরিষেবা দেওয়া অসম্ভব। এখন বেসরকারি বাস নিয়ে অচলাবস্থা চললেও শহর-শহরতলিতে ট্যাক্সি মিলছে।
Comments are closed.