পুজোর সময় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছে মা ক্যান্টিন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোয় পঞ্চমী থেকে লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে ৮৭ টি মা ক্যান্টিনের সাহায্যে প্রায় ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৯৫ জন খাবার পেয়েছেন। সবথেকে বেশি খাবার পেয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা পুর এলাকার মানুষরা। সেখানে ১৬ হাজার ৪২৩ জন মা ক্যান্টিনের খাবার পেয়েছেন। এরপরে নাম রয়েছে আসানসোলের। সেখানে এই খাবার পেয়েছেন ১১ হাজার ৯৪৯ জন। কলকাতায় বিভিন্ন মা ক্যান্টিন থেকে খাবার পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৮৬ জন।
উল্লেখ্য, এই মা ক্যান্টিনে দেওয়া হয় ডিম ও ভাত। ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে কলকাতায় চালু হয় মা ক্যান্টিন। লকডাউন এর মতো কঠিন সময়ে কলকাতা সহ জেলায় জেলায় দুঃস্থ মানুষদের মুখে খাবার তুলে দিতে শুরু হয় মা ক্যান্টিন। ৫ টাকায় ডাল, সবজি, ডিম, ভাত মানুষের মুখে তুলে দিয়েছে মা ক্যান্টিন। কুপন সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট সময়ে দেওয়া হয় খাবার। এরপর প্রতিটি জেলার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও মানুষের পাশে থাকতে মা ক্যান্টিন চালু করতে উদ্যোগী হন। এই মুহুর্তে রাজ্যে রয়েছে ২৭৬ টি মা ক্যান্টিন। সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে খুলেছে মা ক্যান্টিন।
পুজো ছাড়া অন্য সময় রাজ্যে প্রতিদিন প্রায় ৫২ থেকে ৫৫ হাজার মানুষ খাবার খান মা ক্যান্টিন থেকে। মা ক্যান্টিনের মতোই কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় খুব কম টাকায় সাধারণ মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া হতো আগেও। বেনফিশের ভ্রাম্যমান ফুড ট্রাক থেকে ৩০ টাকায় তুলে দেওয়া হত মাছ-ভাত। তা ছাড়াও আরও বিভিন্ন নামের প্রকল্পের মধ্যে খাবার তুলে দেওয়া হত দুঃস্থ মানুষের মুখে। যার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল বিভিন্ন পাড়ায় ১১ টাকার থালি। করোনা ভাইরাস এর মত মহামারীর সময় মা ক্যান্টিন প্রকল্প রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মস্তিষ্কপ্রসূত। তবে পুজোতেও অসহায় মানুষকে রান্না করা খাবার খাইয়েছেন মা ক্যান্টিনের কর্মীরা।
Comments are closed.