মহারাষ্ট্রে জোট সরকারের শপথ বৃহস্পতিবার, দল আদর্শচ্যুত বলে শিবসেনা ছাড়লেন প্রবীণ নেতা রমেশ সোলাঙ্কি

রবিবার নয়, বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিচ্ছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। এদিকে তাঁর শপথ গ্রহণের ২৪ ঘণ্টা আগেই ইস্তফা দিলেন দু’দশক ধরে শিবসেনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিশিষ্ট নেতা রমেশ সোলাঙ্কি। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বাল ঠাকরের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে শিবসেনা, এমনই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার রাতে ট্যুইটারে দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান শিবসেনা নেতা সোলাঙ্কি।
ট্যুইটে সোলাঙ্কি লেখেন, শিবসেনা থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া এবং মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। কিন্তু আমার বিবেক ও আদর্শ কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করতে বাধা দিচ্ছে। এভাবে বিবেকের বিরুদ্ধে গিয়ে দলের হয়ে কাজ করা ঠিক হবে না বলেই তাঁর মনে হয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে ট্যুইটারে জানিয়েছেন সোলাঙ্কি। তিনি ট্যুইটে আরও লেখেন, দল থেকে ইস্তফা দিলেও হৃদয় থেকে তিনি বালসাহেবের শিব সৈনিক হয়েই থাকবেন।
সূত্রের খবর, এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে শিবসেনার জোট গঠন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই বিরোধিতা করে এসেছেন রমেশ সোলাঙ্কি। এমনকী এনসিপি, কংগ্রেস ও শিবসেনার বিধায়করা পাঁচতারা হোটেলে জড়ো হয়ে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রকাশ করছেন, সেটাও মন থেকে মানতে পারেন নি তিনি। তিনি জানান, বাল ঠাকরের সঙ্গে কাজ করার সময় থেকে হিন্দু রাষ্ট্র ও কংগ্রেস মুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখেছেন। আজ যখন সেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সরকার গড়ছে বাল ঠাকরের প্রতিষ্ঠিত শিবসেনা, তা কিছুতেই মানতে পারছেন না তিনি। পদত্যাগের বিষয়ে সোলাঙ্কি বলেন, ‘যো রাম কা নেহি, ওহ মেরা কাম কা নেহি’। অর্থাৎ, যাঁরা রামের সঙ্গে নেই তাঁদের সঙ্গে সোলাঙ্কি থাকছেন না।
এদিকে বুধবার নব নির্বাচিত বিধায়করা বিধানসভায় শপথ নেন। শপথ নেওয়ার পর এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার বলেন, আমি এনসিপির সঙ্গে ছিলাম এবং আছি। দল কি আমাকে বহিষ্কার করেছে? আমার সম্পর্কে দল যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই মাথা পেতে নেব। মঙ্গলবার রাতেই তিনি কাকা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন। কথা হয় খুড়তুতো বোন সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গেও। এনসিপি নেতা নবাব মালিক জানান, অজিত শরদ পাওয়ারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। সরকারে তাঁর ভূমিকা সম্পর্কে দল দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে।

Comments are closed.