বিরোধীরা সরকার গঠনে তৎপর হতেই কি তড়িঘড়ি মহারাষ্ট্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করল? বুধবার বিকেল থেকেই দেশের রাজনৈতিক মহলের এই প্রশ্ন নিয়ে তোলপাড় চলছে। মঙ্গলবার গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি থাকা সত্ত্বেও যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গোটা ঘটনাটা ঘটে গেল তাতে বিরোধীদের এই অভিযোগ নিতান্ত অমূলক নয়। তবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার পরেও সরকার গঠন নিয়ে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের মধ্যে আলোচনা জারি রয়েছে। রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই শিবসেনা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে রাষ্ট্রপতি শাসনকে বিদ্রুপ করেই বলেছেন, সরকার গঠনের জন্য আমরা রাজ্যপালের কাছে ৪৮ ঘণ্টা সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি ৬ মাসের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছেন। এর অর্থ হল, সরকার গড়ার জন্য আসলে তিনি আমাদের ৪৮ ঘণ্টার বদলে ৬ মাস সময় দিলেন। এই মহানুভবতার জন্য রাজ্যপালকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিরোধী সব দলই মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসনের তীব্র বিরোধিতা করেছে। সিপিএমের পলিটব্যুরো এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারতীয় সংবিধানের উপর আবার আঘাত হানল মোদী সরকার। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, সংবিধানকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হল। পলিটব্যুরোর অভিযোগ, গোটা প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের বোম্মাই মামলার রায়কে লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রতিবাদ করেছে কংগ্রেসও।
গত দু’তিন ধরেই শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল। মঙ্গলবার কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সঙ্গে শিবসেনা সরকার গড়ার একেবারে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে পৌঁছেও গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের সমর্থনে চিঠি না আসায় সে প্রস্তুতি থমকে যায়। এরপর, রাজ্যে তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এনসিপিকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি। এনসিপিকে এর জন্য সময় দেওয়া হয় রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। ওই দিন সকালেই এনসিপি-র নেতারা চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে জানান, আরও দু’দিন সময় দেওয়া হোক। রাজ্যপাল এনসিপির আর্জি খারিজ করে দেন। তারপরেই শুরু হয়ে যায় রাজভবনের খেলা। সূত্রের খবর, বেলা ১২ টা নাগাদ বিধানসভা জিইয়ে রেখেই রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন রাজ্যপাল। সেই সুপারিশ চলে যায় রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আসার পরেই কেন্দ্রীয় স্তরে নড়াচড়া আরম্ভ হয়। ছুটি বাতিল করে ডেকে আনা হয় শীর্ষ স্তরের অফিসারদের। তিনটে নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রাজিল উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে সকলেই রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে মত দেন। সেই সুপারিশ বিকেল চারটে নাগাদ রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছে দেন স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লার। ঘণ্টা খানেক বাদে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশে সই করেন রামনাথ কোবিন্দ।
এসবের আগে সকাল থেকেই শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপির মধ্যে সরকার গঠন নিয়ে কথা চালাচালি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। এনসিপি নেতা সকালেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলে নেন। সনিয়া অত্যন্ত দ্রুত দলের তিন প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, আহমেদ প্যাটেল এবং কে সি বেনুগোপালকে মহারাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনার জন্য। এরই মাঝে পাওয়ার বৈঠক করেন উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বিরোধীদের এই তৎপরতা দেখেই দ্রুত আসরে নেমে পড়ে বিজেপি এবং মহারষ্ট্রের রাজভবন।
এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বিরোধী নেতাদের বক্তব্য, এনসিপি-কে সময় দেওয়া হয়েছিল রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। কিন্তু নিজের দেওয়া সময়সীমা না মেনেই রাজ্যপাল কোন যুক্তিতে ৩৫৬ ধারা জারির সুপারিশ করলেন, তা বোধগম্য হচ্ছে না। গোটাটাই রাজভবন বিজেপির বোঝাপড়া। সিপিএম এই ইস্যুতে সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তিকে একযোগে সামিল হতে বলেছে।
বিরোধী সব দলই মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসনের তীব্র বিরোধিতা করেছে। সিপিএমের পলিটব্যুরো এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারতীয় সংবিধানের উপর আবার আঘাত হানল মোদী সরকার। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, সংবিধানকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হল। পলিটব্যুরোর অভিযোগ, গোটা প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের বোম্মাই মামলার রায়কে লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রতিবাদ করেছে কংগ্রেসও।
গত দু’তিন ধরেই শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল। মঙ্গলবার কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সঙ্গে শিবসেনা সরকার গড়ার একেবারে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে পৌঁছেও গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের সমর্থনে চিঠি না আসায় সে প্রস্তুতি থমকে যায়। এরপর, রাজ্যে তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এনসিপিকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি। এনসিপিকে এর জন্য সময় দেওয়া হয় রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। ওই দিন সকালেই এনসিপি-র নেতারা চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে জানান, আরও দু’দিন সময় দেওয়া হোক। রাজ্যপাল এনসিপির আর্জি খারিজ করে দেন। তারপরেই শুরু হয়ে যায় রাজভবনের খেলা। সূত্রের খবর, বেলা ১২ টা নাগাদ বিধানসভা জিইয়ে রেখেই রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন রাজ্যপাল। সেই সুপারিশ চলে যায় রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আসার পরেই কেন্দ্রীয় স্তরে নড়াচড়া আরম্ভ হয়। ছুটি বাতিল করে ডেকে আনা হয় শীর্ষ স্তরের অফিসারদের। তিনটে নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রাজিল উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে সকলেই রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে মত দেন। সেই সুপারিশ বিকেল চারটে নাগাদ রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছে দেন স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লার। ঘণ্টা খানেক বাদে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশে সই করেন রামনাথ কোবিন্দ।
এসবের আগে সকাল থেকেই শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপির মধ্যে সরকার গঠন নিয়ে কথা চালাচালি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। এনসিপি নেতা সকালেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলে নেন। সনিয়া অত্যন্ত দ্রুত দলের তিন প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, আহমেদ প্যাটেল এবং কে সি বেনুগোপালকে মহারাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনার জন্য। এরই মাঝে পাওয়ার বৈঠক করেন উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বিরোধীদের এই তৎপরতা দেখেই দ্রুত আসরে নেমে পড়ে বিজেপি এবং মহারষ্ট্রের রাজভবন।
এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বিরোধী নেতাদের বক্তব্য, এনসিপি-কে সময় দেওয়া হয়েছিল রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। কিন্তু নিজের দেওয়া সময়সীমা না মেনেই রাজ্যপাল কোন যুক্তিতে ৩৫৬ ধারা জারির সুপারিশ করলেন, তা বোধগম্য হচ্ছে না। গোটাটাই রাজভবন বিজেপির বোঝাপড়া। সিপিএম এই ইস্যুতে সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তিকে একযোগে সামিল হতে বলেছে।
Comments are closed.