আমাকে আঘাত করতে করতে এখন বাংলার মনীষীদের আক্রমণ করা হচ্ছে। অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে বলার অধিকার নেই ওদের। এটা অমর্ত্য সেন নয়, বাংলার অপমান। ক্ষমা না চাইলে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে কৈফিয়ত নেব। এভাবেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের শান্তিনিকেতনের জমি নিয়ে বিশ্বভারতীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা বলেন, অমর্ত্য সেন মতাদর্শগত ভাবে বিজেপি বিরোধী বলে তিনি জমি দখল করেছেন, হকার বসিয়েছেন, এইসব চক্রান্ত হচ্ছে। বাংলার মানুষের তরফে ক্ষমা চাইছি অমর্ত্যবাবুর কাছে। মমতার অভিযোগ, বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। তাদের অমর্ত্যবাবুর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। ক্ষমা না চাইলে অমর্ত্যবাবুর হয়ে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের গর্জে উঠতে আহ্বান করেন মমতা। তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে আঘাত করতে এখন বাংলার মনীষীদের আক্রমণ শুরু করেছে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ এরপরেই মমতার হুঁশিয়ারি, আগামী ২৯ ডিসেম্বর বোলপুরের সভা থেকে জবাব চাইব অমর্ত্য সেনকে কেন অপমান করা হল, কেন পৌষমেলা বন্ধ হল। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে এসবের কৈফিয়ত নেব।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর নিজেদের জমি দখলে আনতে তৎপর হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখান থেকেই শুরু হয় জটিলতা। দেখা যায় বিশ্বভারতীর প্রচুর প্লট বিশ্বভারতীর হলেও কর্তৃপক্ষ তার রেজিস্ট্রেশন করেনি। ফলে ওই জায়গাগুলিতে বসবাসকারীদের নামেই তা রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। সেভাবেই অমর্ত্য সেনের ‘প্রতীচী’ বাড়িও অবৈধ জায়গায় তৈরি বলে অভিযোগ তুলে বিতর্কে জড়িয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে পাল্টা চিঠি লিখে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন বলে খবর। বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে মমতার প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি।
Comments are closed.