কালিম্পঙে কেন করোনা বেশি? এসসি, আদিবাসী শংসাপত্র দিতে টালবাহানা করলে আরটিআই হবে, হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
এ রাজ্যে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সমস্ত পুজো ও অনুষ্ঠান হবে, জমায়েত যেন না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। উত্তরকন্যার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বুধবার মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। এদিন একাধিক প্রশাসনিক ইস্যু নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কালিম্পঙে কেন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না, তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন।
এদিন কোচবিহার, কালিম্পঙ ও দার্জিলিঙ এর কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় মুখ্যসচিব রাজীবা সিনহা জানান, কালিম্পঙের পরিস্থিতি বেশ জটিল। অনেক বেশি সাবধান থাকতে হবে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, কেন কালিম্পঙে বাড়ছে সংক্রমণ? অবিলম্বে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার নির্দেশ দেন। এদিন ফের মমতা ব্যানার্জি প্রশাসনিক আধিকারিকদের গ্রিন জোনের উপর নজর রাখার পরামর্শ দেন। বলেন, দেখতে হবে গ্রিন জোনে যাতে কোনওভাবেই নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে। যে এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে সেখানকার পরিস্থিতি আগে আয়ত্তে আনতে হবে। করোনা আবহে পুজো প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারকে বিঁধে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও রাজ্যে সব পুজো হবে। সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানই উদযাপন করা হবে। কিন্তু তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে। পুজোর দিনগুলিতে কোনওভাবেই যাতে বড় জমায়েত না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি।
জেলাভিত্তিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে খোঁজখবর করতে গিয়ে মমতা বলেন, কিছু গুন্ডা গুন্ডামি করে চলে যায়। সেদিকে নজর রাখতে হবে পুলিশকে। মমতার কথায়, যাঁরা এ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা উত্তর প্রদেশ ও গুজরাতের দিকে নজর দিন। বিজেপিকে বিঁধে মমতা বলেন, রাজনীতি মানে মিথ্যে কথা বলা নয়। রাজনীতি মানে দায়বদ্ধতা। কিন্তু কিছু সংবাদমাধ্যমকে দিয়ে মিথ্যে খবর রটানো হয় বলে অভিযোগ করেন মমতা। সতর্ক করে দেন দাঙ্গা লাগানোর উদ্দেশে ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়েও।
এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মমতা জানিয়ে দেন করোনা পরিস্থিতির মধ্যে উন্নয়নের কাজ যেন না থেমে থাকে। তফশিলি ও আদিবাসী শংসাপত্র দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করলে রাইট টু ইনফর্মেশন কেসে পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মমতা। তাঁর কথার রেশ টেনে মুখ্যসচিব জানান, আবেদনের সাতদিনের মধ্যে শংসাপত্র দেওয়ার দরকারি খোঁজখবর করতে হবে আধিকারিকদের এবং ১৫ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্দেশে মমতা আরও জানান, রেশন পাইনি বলে অভিযোগ যেন আর না আসে।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রশাসনিক কাজে মোটের উপর খুশি হলেও ১০০ শতাংশ কাজ শেষ করার ব্যাপারে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আমলা থেকে জনপ্রতিনিধি থেকে সাধারণ মানুষ, সতর্ক করে দেন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার নিয়েও।
Comments are closed.