‘চোখের আলো’ প্রকল্পে ৮ লক্ষ চশমা বিলি করবে রাজ্য সরকার, নবান্ন থেকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলার মানুষকে ৮ লক্ষ ২৫ হাজার চশমা বিলি করবে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নয়া প্রকল্প ‘চোখের আলো’র উদ্বোধন করে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প শুরু হচ্ছে আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে। এই প্রকল্পে বিনামূল্য পড়ুয়াদের চক্ষু পরীক্ষা ও চশমা বিলির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘চোখের আলো’ প্রকল্পে কী কী সুবিধা পাবেন রাজ্যবাসী?

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে ‘চোখের আলো’ প্রকল্পে বয়স্কদের ছানি অপারেশন হবে। তাছাড়া নবজাতক থেকে বৃদ্ধদের চোখের চিকিৎসা এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধ করার কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। সরকারি স্কুলের সমস্ত পড়ুয়াদের জন্য বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা ও চশমা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পড়ুয়াদের অকাল রেটিনা ক্ষয় রোধ করা এবং চোখের অসুখের সাম্প্রতিক তথ্যের জন্য একটি ডিজিট্যাল তথ্যভাণ্ডার তৈরি করছে রাজ্য সরকার। যেখানে চোখের অসুখ ও নিরাময় সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পাবেন রাজ্যবাসী।

এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায় শুরু হচ্ছে ৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার। মোট ১ হাজার ২০০ টি গ্রাম পনগচায়েত ও শহরাঞ্চলের ১২০ টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই প্রকল্প চালু হবে। পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে এই প্রকল্পে কাজ হবে। ৩৯০ জনের বেশি মেডিক্যাল ল্যাব টেকনোলজিস্ট (অপটোমেট্রি) এবং ৩০০’র বেশি চিকিৎসক এই প্রকল্পে পরিষেবা দেবেন। সরকারের এই অভিনব উদ্যোগে শামিল হচ্ছে ৬৩টির বেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

এদিন নবান্ন থেকে আরও একটি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে খনিজ তেল পাওয়ার খবর কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাতে সাড়া দিয়ে রাজ্যে আরও একটি শোধনাগার তৈরি হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। মমতার কথায়, গত ২১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম অশোকনগর ও হাবড়ায় যে খনিজ তেলের হদিশ পাওয়া গিয়েছে তা কাজে লাগিয়ে হলদিয়ায় ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনকে সংযুক্ত করে তৈল শোধনাগার তৈরি করার।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার বিনামূল্যে ৪১ একর জমি তুলে দেবে কেন্দ্রের হাতে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, জমির জন্য ওরা (কেন্দ্র) বলেছিল টাকা দেবে। আমি বলেছি টাকার দরকার নেই, তোমরা এখানে শুধু ইন্ডাস্ট্রিটা করো। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একসঙ্গে এই কাজ করতে পারব বলে আমরা খুশি। এই প্রকল্প রূপায়নে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে থাকা ৩০০ জন মানুষের জন্য পুনর্বাসন করে দেওয়া ও পরিবার প্রতি চাকরির প্যাকেজ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কয়েক হাজার কর্মসংস্থান হবে বলে এদিন নবান্ন থেকে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

Comments are closed.