দরজায় কড়া নাড়ছে পুরসভা ভোট, আর এক বছরের মধ্যে রয়েছে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে গৃহহীন, তফসিলি, আদিবাসী ও বেকারদের জন্য নয়া প্রকল্প ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কী কী প্রকল্পের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী, দেখে নিন এক নজরে।
জয় বাংলা প্রকল্প
বিধবা ভাতা থেকে বার্ধক্য ভাতা,যে কোনও পেনশন স্কিমকেই এবার একটি ছাতার মধ্যে আনা হচ্ছে। ৬০ বছর বয়স হলে রাজ্যের সব বাসিন্দাই এই প্রকল্পের অধীনে মাসিক এক হাজার টাকা করে পেতে পারেন। রাজ্যের ২০২০-২১ সালের বাজেটে এই প্রকল্পে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন উপভোক্তারা।
বিধবা ভাতা বা যে সব মাসিক ভাতায় মহিলারা ৬০০, ৭০০ টাকা করে পেতেন, তাঁরা সবাই এবার এক হাজার টাকা করে পাবেন বলে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। এই প্রকল্পের অধীনে আনা হচ্ছে রাজ্যের তফসিলিদের জন্য তফসিলি বন্ধু প্রকল্প, যেখানে তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষের বয়স ৬০ পেরলে এক হাজার টাকা করে পাবেন। একইভাবে আদিবাসীদের জন্য ‘জয় জহর’ প্রকল্পেও এই আর্থিক সহায়তা পাবেন আদিবাসী বৃদ্ধরা।
আগে সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট ২০ লক্ষ মানুষ পেনশন পেতেন। ‘জয় বাংলা’ প্রকল্পে সব মিলিয়ে ৬০ লক্ষ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পে সরকারের খরচ হচ্ছে ১,২০০ কোটি টাকা।
স্নেহালয় প্রকল্প
কালিয়াগঞ্জে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে প্রচুর গৃহহীনের আবেদন পেয়েছেন তিনি। বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও যারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না তাঁদের জন্য আনা হয়েছে ‘স্নেহালয়’ প্রকল্প। এপর্যন্ত মোট ২৫ হাজার গৃহহীনের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার আবেদন পেয়েছেন তিনি। তাঁদের সবার জন্য ‘স্নেহালয়’ প্রকল্পে দু’ দফায় মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আবেদনকারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এই প্রকল্পের টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। মমতার বার্তা, কাউকে ধরাধরি করে এই প্রকল্পের সাহায্য নিতে হবে না। শুধু বিডিও অফিসে আবেদনপত্র দিলেই হবে।
কর্মসাথী প্রকল্প
ব্যবসায় আগ্রহী বেকার যুবক-যুবতীর জন্য এমএসএমই থেকে ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্য করা হবে। এই প্রকল্পে আগামী তিন বছরে তিন লক্ষ ব্যবসায়ে উদ্যোগী ছেলেমেয়ে উপকৃত হবেন বলে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে এমএসএমই-র আধিকারিককে আবেদন করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া বিডিও, এসডিও-র সাহায্যেও এই আবেদনপত্র পৌঁছে দিতে পারবেন ঘোষণা মমতার।
Comments are closed.