‘আজ আছি, কাল নেই, উদ্ধত যেন না হই’, কর্মীদের মানুষের কাছে যেতে বার্তা মমতার

নম্র ও বিনয়ী হতে শিখুন। গরিব মানুষের দুঃখের কথা শুনুন, তার প্রতিকার করুন। দিল্লির বিজেপি সরকারের কাছ থেকে ঔদ্ধত্য শিখবেন না। ঔদ্ধত্য-অহঙ্কার ভালো নয়। বাংলার গর্ব মমতা অনুষ্ঠানে বললেন মমতা ব্যানার্জি।

যাদবপুরে হেভিওয়েট সিপিএম প্রার্থী সোমনাথ চ্যাটার্জিকে পর্যুদস্ত করাই হোক কিংবা ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান। মমতা ব্যানার্জির বরাবরের ইউএসপি জনসংযোগ। পুরভোট ও বিধানসভা ভোটে বিজেপির টক্কর নেওয়ার আগে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ঝুলি থেকে সেই হাতিয়ারই ফের একবার বের করলেন মমতা। পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের বার্তা দিলেন আরও বেশি সময় জনসংযোগে ব্যয় করার। তাঁর ঘোষণা, ব্লকে ব্লকে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। সরকারের প্রকল্প ও সাফল্য সম্বন্ধে অবগত করতে হবে সাধারণ মানুষকে। মমতার নিদান, প্রতিদিন একবার করে চায়ের দোকানে বসে জনসংযোগ বাড়ান।

তবে শুধু জনসংযোগ বাড়ানোর দাওয়াই নয়, এদিন মমতার বক্তৃতার ছত্রে ছত্রে ছিল আত্মানুসন্ধানের বার্তা। কর্মীদের প্রতি মমতার পরামর্শ, আরও নম্রভাবে বিনয়ী হয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। শুনতে হবে অভাব অভিযোগের কথা। দিল্লির সরকারের কাছ থেকে আমরা যেন ঔদ্ধত্য না শিখি। দলীয় কর্মীদের আইন হাতে তুলে নিতে নিষেধ করে মমতা ব্যানার্জি বলেন, কিছু ঘটলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিতে হবে। প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই বিজেপিকে মোকাবিলায় দলীয় কর্মীদের আইন নিজের হাতে না তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা।

পাশাপাশি ভোটে জিততে বিজেপির একমাত্র মন্ত্র দাঙ্গা লাগানোর কর্মসূচি যেন কোনওভাবেই রূপায়িত হতে না পারে সেজন্যও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে হবে তৃণমূল কর্মীদের। জাতির নামে জাতাকল তৈরি করে স্বৈরাচারী বিজেপি সারাদেশে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করছে, সেই বিপদ থেকে সতর্ক থাকতে হবে, বলেন মমতা ব্যানার্জি।

Comments are closed.