মমতা ব্যানার্জি: ভিন রাজ্যের উগ্র ধর্মীয় সংগঠন অশান্তির আগুন লাগাতে পারে, সজাগ থাকুন, বাঁকুড়ায় আর কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
এলাকায় নতুন কাউকে দেখলে পুলিশকে জানান। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নাম ভাঁড়িয়ে ভিন রাজ্যের উগ্র ধর্মীয় সংগঠন রাজ্যে আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে, সজাগ থাকুন। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার সতীঘাটের কর্মীসভা থেকে দলীয় কর্মীদের এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে সংগঠন মজবুত করার কাজে উঠে পড়ে লাগলেন মমতা। বাঁকুড়ার কর্মীসভা থেকে দলের কর্মীদের একাধিক নির্দেশ দেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে বিজেপির ‘অপপ্রচারের’ বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচার করা, দল নির্ধারিত নেতার অধীনে কাজ করা এবং এলাকায় কোনও বহিরাগত ঢুকছে কি না, তার প্রতি সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া। মমতা বলেন, তৃণমূলে নেতারা নন, কর্মীরাই সম্পদ। তবে শৃঙ্খলা মেনে দল নির্ধারিত নেতার অধীনে সবাইকে কাজ করতে হবে। কেউ তা মানতে না চাইলে দল করবেন না, হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেত্রীর। প্রসঙ্গত, বর্তমানে দলের গোষ্ঠী কোন্দলই বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে তৃণমূলের। এই অবস্থায় দলের পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব বৃদ্ধির কথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, দলে দু’তিন জন কর্মী থাকে যারা নিজেদেরটাই দেখে, তাদের উপর আমার নজর আছে।
দলের প্রতিটি কর্মীকে ডায়েরি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। নেত্রীর নির্দেশ, তাতে এলাকার কোন কোন কাজ হয়ে গিয়েছে এবং কী কী বাকি রয়েছে, তা লিখে রাখতে হবে। পরে সেগুলি নির্দিষ্ট নেতাদের হাতে দিলে অবশিষ্ট কাজ শেষ করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি, মমতার আরও পরামর্শ, মানুষ কোনও-বিপদে আপদে পড়লে অবশ্যই ফোনটা ধরবেন। নিজের উদাহরণ দিয়ে মমতা বলেন, এত কাজ সামলেও আমি যদি রাত তিনটের সময় মোবাইল ফোনে খবরাখবর নিতে পারি, আপনারা কেন পারবেন না? কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, হাঁটুন, কাজ করুন। বেশি কাজ করলে কখনও কেউ অসুস্থ হয় না। কাজ না করলেই হয়। পাশাপাশি বিজেপি ‘মিথ্যে প্রচার করলে’ পরের দিন মাইকে করে তার বিরুদ্ধে প্রচার করার নিদান দেন মুখ্যমন্ত্রী। এলাকায় নতুন কেউ ঢুকলে পুলিশকে খবর দিতে বলেছেন তিনি। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করলে স্থানীয় নেতার মাধ্যমে তাঁর কানে সব পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সাহায্য করতে চাইলে তা নেবেন না। ওই টাকা তো জনগণের। টাকা দেওয়ার তোমরা কে হে হরিদাস? তিনি বলেন, পাড়ায় পাড়ায় সজাগ থাকুন। ভিন রাজ্যের কিছু উগ্র ধর্মীয় সংগঠন সাহায্যের নামে এলাকায় ‘আগুন জ্বালিয়ে’ চলে যাবে। এদিন বাঁকুড়ার কোন বুথ এলাকা থেকে কত কর্মী এসেছেন, এলাকার নাম ধরে ধরে তাঁদের উঠে দাঁড়াতে বলেন তিনি।
Comments are closed.