গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে তৃণমূল নেতৃত্বকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএমকে নিশানা মমতা ব্যানার্জির
রাজ্যে তিন কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে ফের একযোগে বিজেপি-কংগ্রেস ও সিপিএমকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে একে অপরের বিরুদ্ধে ভাষণ দেয়, আর এ রাজ্যে একসঙ্গে কাজ করে, বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস-তিন দলকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর।
সোমবার কোচবিহারের কর্মিসভা থেকে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে একত্রে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁদের কটাক্ষ করে মমতা বলেন, তিন দলকেই ভোটের মাধ্যমে এ রাজ্য থেকে তাড়াতে হবে। পাশাপাশি, দলের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলবে না বলে নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি দেন মমতা। কোচবিহারের তৃণমূল পুরপ্রধান ভূষণ সিংহকে প্রকাশ্যেই এ নিয়ে ভর্ৎসনা করেন মমতা। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, আলো নিয়ে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে ঝগড়া বরদাস্ত করা হবে না। মন্ত্রী ও পুরপ্রধানকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন মমতা। জানিয়ে দেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রভাবে যেন দল না ভোগে।
কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকের কাছে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূলের পরেশ অধিকারী। এ নিয়ে মমতা বলেন, উত্তরবঙ্গে যথেষ্ট উন্নয়ন করেও এই হার তাঁকে দুঃখ দিয়েছে। বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে অপপ্রচার আর টাকার কাছে মাথা নত করেছে মানুষ। কেউ ভাবতেও পারেনি রাতের অন্ধকারে টাকা বিলি করা হয়েছে এবং বর্ডার দিয়ে সেই টাকা পাচার হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায়। এদিন ফের এনআরসি নিয়ে বিজেপিকে তোপ দেগে মমতা বলেন, মানুষকে থাকার অধিকার দেবে না, কিন্তু ভোট স্বার্থে টাকা বিলি করবে। অভিযোগ করেন, এনআরসি নিয়ে বিভাজনের খেলা হচ্ছে, এটা আসলে বিজেপির ‘খুড়োর কল’। পাশাপাশি, রেল, এয়ার ইন্ডিয়া সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রবল সমালোচনা করেন মমতা। বিজেপি- সিপিএম-কংগ্রেসের গোপন বোঝাপড়ার রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী।
মমতার অভিযোগ, হিন্দু ও মুসলিম, দুই ধর্মেই কিছু উগ্রবাদী তৈরি হয়েছে। এই দুই তরফই বিজেপির থেকে টাকা নেয়। তাঁর কথায়, হায়দরাবাদের একটা দল আছে যারা এর জন্য বিজেপির কাছ থেকে টাকা নেয়।
কর্মিসভা থেকে মমতার দাবি, ২০২১ সালে তৃণমূলই ফের ক্ষমতায় আসছে রাজ্যে। দলের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, কোনও নেতার গোষ্ঠীতে যোগ দেবেন না, দল করুন।