দলবদলের জন্য দিল্লি থেকে ফোন করা হচ্ছে খোদ তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সিকে! কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান সভা থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। শধু তাই নয়, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে ফোন করা হয়েছে বোলপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও। মমতার কথায়, লজ্জা, সৌজন্যতা বলে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই বিজেপির। তৃণমূল সভাপতিকে ফোন করছে। কত বড় সাহস! তৃণমূল নেত্রীর কথায়, কেষ্টকেও দিল্লি থেকে ফোন করে বলা হচ্ছে তোমার সঙ্গে একটু বসব। বিজেপির ন্যূনতম রাজনৈতিক সৌজন্যতা নেই বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এও জানান, অনুব্রত মণ্ডল ওই বৈঠকের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কিছুদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এদিকে বারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। তৃণমূল বারবার অভিযোগ করে আসছে, এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখিয়ে এবং নানাভাবে তৃণমূলের নেতাদের ভাঙিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু খোদ তৃণমূলের রাজ্য সভাপতিকেও ফোন করে বিজেপিতে জয়েন করাতে চাইছে দিল্লি বিজেপি, মমতার এই অভিযোগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উত্তরবঙ্গের সভা থেকে এদিন দলীয় নেতা-কর্মীদের জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করার বার্তা দেন মমতা। বলেন, টাকা ছড়িয়ে দল ভাঙানোর চেষ্টা হচ্ছে। কর্মীদের প্রতি তাঁর আবেদন,’নিজেদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন না।’ এই প্রেক্ষিতে নাম না করে সদ্য তৃণমূলত্যাগী মিহির গোস্বামী ও অন্যান্য বিক্ষুব্ধ নেতাদেরও ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ‘যাঁরা পুরনো তৃণমূল কর্মী তাঁরা দলেই থাকবেন। তবে একটা দুটো জোয়ারে আসে ভাটায় চলে যায়। মানুষ রোজ চরিত্র বদল করতে পারে না। জামা-কাপড় বদলানো যায় কিন্তু আদর্শ বদল করা যায় না।’ মমতা আরও বলেন, চারাগাছ হয়ে যে তৃণমূলের জন্ম হয়েছিল তা এখন বটবৃক্ষ হয়েছে। পেরেক ঠুকে পাথর ভাঙা যায় না, পেরেকটাই ভেঙে যায়। তিনি অভিযোগ করেন, গত লোকসভা ভোটে বিজেপির টাকার খেলা ধরতে পারিনি, কিন্তু এবার বুঝে গিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের মানুষ এবার বিজেপিকে উৎখাত করবে।
Comments are closed.