সকাল থেকে হিন্দুস্তান-পাকিস্তান করলে পেঁয়াজের দাম কমবে তো? মেয়ো রোডে সংহতি দিবস পালনের মঞ্চ থেকে শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিলেন, পেঁয়াজ ইজ সেন্ট্রাল সাবজেক্ট। তাঁর প্রশ্ন, দ্রব্য মূল্য কার বিষয়? তারপর নিজেই জবাব দেন, এটা তো কেন্দ্রের দেখা উচিত।
মমতার অভিযোগ, সঠিক সময়ে পেঁয়াজ আমদানির কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় এই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তিনি জানান, কেন্দ্রকে জানানো হয়েছিল, রাজ্যের ২০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ প্রয়োজন। কিন্তু মাত্র ২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দিয়েই দায় সেরেছে কেন্দ্র। তার মধ্যে আবার অর্ধেক পেঁয়াজই পচা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সব জায়গায় বাংলাকে খরচের খাতায় দিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র। প্রাপ্য জিনিস দিচ্ছে না কেন্দ্র। বাংলার মানুষ মাথা তুলে দাঁড়াবে না, এটাই ভেবে নিয়েছে ওরা। এদিন সভা থেকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন মমতা। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী করে বলেন, আমি তো রসুন, পেঁয়াজ খাই না। ব্যস, দায়িত্ব শেষ? আশ্চর্য একটা সরকার চলছে। কীভাবে সরকার নিজের দায়িত্ব থেকে সরে আসতে পারেশ? বিভেদের রাজনীতি করলে পেঁয়াজের দাম কমবে তো? মমতা জানান, এ রাজ্যে আগে পেঁয়াজ চাষ হত না। কোনও উদ্যোগ নেয়নি পূর্বতন বাম সরকার। এখন বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলায় পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। যদিও পেঁয়াজ চাষের জন্য সঠিক মাটি জরুরি। যেভাবে পোলট্রি ও মৎস্য চাষে জোর দিয়ে ভিন রাজ্য থেকে ডিম, মাছের আমদানি কমানো হয়েছে, আগামী দিনে পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে এদিনও পেঁয়াজের দাম কমেনি। কলকাতা ও আশপাশের জেলার খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দর ছিল কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। রাজ্য সরকার তাদের সুফল বাংলা স্টলের মাধ্যমে ৫৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। সেখানে মাথাপিছু ৫০০ গ্রামের বেশি পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে না। সেই স্টল আবার সব জায়গায় নেই। অনেক ব্যবসায়ীই পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে। নতুন বছরের আগে পেঁয়াজের দাম কমবে না বলেই আশঙ্কা তাঁদের।
মেয়ো রোডের সভায় দেশের আর্থিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, অর্থনীতির চরম অবস্থা, ঘরে টাকা রাখলে নোটবন্দির নামে আপনার বাড়িতে হানা, ব্যাঙ্কে রাখলে খোয়া গেলে ১ লক্ষের টাকা বেশি দিতে পারবে না। আধার কার্ড যদি এতই গুরুত্বপূর্ণ হবে, তাহলে মানুষের জীবনে আঁধার ঘনাচ্ছে কেন? তাঁর মন্তব্য, ‘আমি আগেই বলেছিলাম আধারের সঙ্গে প্যান কার্ড যুক্ত করলে সব টাকা তুলে নেবে ব্যাঙ্ক থেকে। সেটাই এখন হচ্ছে।’
মমতার অভিযোগ, সঠিক সময়ে পেঁয়াজ আমদানির কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় এই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তিনি জানান, কেন্দ্রকে জানানো হয়েছিল, রাজ্যের ২০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ প্রয়োজন। কিন্তু মাত্র ২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দিয়েই দায় সেরেছে কেন্দ্র। তার মধ্যে আবার অর্ধেক পেঁয়াজই পচা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সব জায়গায় বাংলাকে খরচের খাতায় দিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র। প্রাপ্য জিনিস দিচ্ছে না কেন্দ্র। বাংলার মানুষ মাথা তুলে দাঁড়াবে না, এটাই ভেবে নিয়েছে ওরা। এদিন সভা থেকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন মমতা। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী করে বলেন, আমি তো রসুন, পেঁয়াজ খাই না। ব্যস, দায়িত্ব শেষ? আশ্চর্য একটা সরকার চলছে। কীভাবে সরকার নিজের দায়িত্ব থেকে সরে আসতে পারেশ? বিভেদের রাজনীতি করলে পেঁয়াজের দাম কমবে তো? মমতা জানান, এ রাজ্যে আগে পেঁয়াজ চাষ হত না। কোনও উদ্যোগ নেয়নি পূর্বতন বাম সরকার। এখন বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলায় পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। যদিও পেঁয়াজ চাষের জন্য সঠিক মাটি জরুরি। যেভাবে পোলট্রি ও মৎস্য চাষে জোর দিয়ে ভিন রাজ্য থেকে ডিম, মাছের আমদানি কমানো হয়েছে, আগামী দিনে পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে এদিনও পেঁয়াজের দাম কমেনি। কলকাতা ও আশপাশের জেলার খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দর ছিল কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। রাজ্য সরকার তাদের সুফল বাংলা স্টলের মাধ্যমে ৫৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। সেখানে মাথাপিছু ৫০০ গ্রামের বেশি পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে না। সেই স্টল আবার সব জায়গায় নেই। অনেক ব্যবসায়ীই পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে। নতুন বছরের আগে পেঁয়াজের দাম কমবে না বলেই আশঙ্কা তাঁদের।
মেয়ো রোডের সভায় দেশের আর্থিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, অর্থনীতির চরম অবস্থা, ঘরে টাকা রাখলে নোটবন্দির নামে আপনার বাড়িতে হানা, ব্যাঙ্কে রাখলে খোয়া গেলে ১ লক্ষের টাকা বেশি দিতে পারবে না। আধার কার্ড যদি এতই গুরুত্বপূর্ণ হবে, তাহলে মানুষের জীবনে আঁধার ঘনাচ্ছে কেন? তাঁর মন্তব্য, ‘আমি আগেই বলেছিলাম আধারের সঙ্গে প্যান কার্ড যুক্ত করলে সব টাকা তুলে নেবে ব্যাঙ্ক থেকে। সেটাই এখন হচ্ছে।’
Comments are closed.