যে কোনও একটা বিশ্ববিদ্যালয়ই যে কেন্দ্রের নয়া নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি কিংবা এনপিআরের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে এমন নয়। দেশজুড়ে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। সোমবার রানি রাসমণি রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী ধরনা থেকে এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
পাশাপাশি এই আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে সংবাদমাধ্যমের একাংশকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, হিংসার পথ ধরে আন্দোলন হয় না। কিন্তু কিছু সংবাদমাধ্যম সস্তা প্রচারের জন্য সেই হিংসাত্মক আন্দোলনকেই তুলে ধরছে।
তিনি বলেন, কর্ণাটক রাজ্য থেকে বিহার, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ রাজ্যের প্রেসিডেন্সি কিংবা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, যারাই কেন্দ্রের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসির বিরোধিতায় গর্জে উঠেছে প্রত্যেককে স্বাগত। পাশাপাশি মমতা এও জানান, কেউ কেউ শুধু প্রচার পাওয়ার জন্যও আন্দোলন করছে। এই ‘সস্তার প্রচারসর্বস্ব’ আন্দোলনকে তিনি আন্দোলন বলে মানেন না। মমতার কথায়, সেই আন্দোলনই আন্দোলন, যা শান্তিপূর্ণ পথে চলছে। যেখানে সফল হওয়ার জন্য অপেক্ষা রয়েছে, প্রতীক্ষা রয়েছে, আবেগ রয়েছে সেই আন্দোলনই সাফল্য পায়। বিবেকের পথে যে আন্দোলন হয় সেটাই সঠিক অর্থে মানুষের জন্য আন্দোলন বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সূত্র ধরে মমতা তাঁর সিঙ্গুর আন্দোলনের তুলনা টানেন। বলেন, এমন শীতের দিনে ২৬ দিনে মানুষের জন্য অনশন করেছি আমি। এদিনও কংগ্রেস, সিপিএমের বনধকে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, কেউ কেউ বাসে আগুন লাগিয়ে, একটা ঢিল ছুড়ে মনে করে আন্দোলন করছে। কিন্তু মানুষের আন্দোলনে হিংসার কোনও জায়গা নেই বলে মত মমতার।
Comments are closed.