বেড়েছে ৪০% কর্মসংস্থান, পরবর্তী শিল্প লক্ষ্য দেউচা পাচামিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি; ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
করোনার কোপে দেশে কর্মসংস্থান সঙ্কুচিত হলেও রাজ্যে কর্মসংস্থান বেড়েছে ৪০%। বুধবার পানাগড়ে পলিফ্লিম কারখানার শিল্যানাস অনুষ্ঠানে গিয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই সঙ্গে তিনি এও দাবি করেন, করোনা কালেও রাজ্যে ৪০% দারিদ্র্য কমেছে।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর রাজ্যের মূল লক্ষ্য যে শিল্পে শীর্ষে স্থানে পৌঁছানো এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তা বুঝিয়ে দেন মমতা ব্যানার্জি। তাঁর কথায়, সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে বাংলা এক নম্বরে রয়েছে, এবার শিল্পেও আমাদের প্রথম হতে হবে।
রাজ্যের পরবর্তী শিল্প গন্তব্য দেউচা পাচামিতে কয়লা খনি। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি হতে চলছে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, এখানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে তাতে আগামী ১০০ বছর বাংলায় বিদ্যুৎ-এর ঘাটতি থাকবে না। এমনকী এর জেরে বিদ্যুৎ অনেক সস্তা হবে বলেও তিনি জানান।
এদিন কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পাশাপাশি রঘুনাথপুরে জঙ্গল সুন্দরী শিল্প পার্ক, দুর্গাপুর, জামুড়িয়া, জামালপুর, হাওড়ার মতো বিভিন্ন জায়গায় ভার্চুয়ালি কিছু শিল্প প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মমতা ব্যানার্জি।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ভাঙা চাল কিনে তা থেকে ইথানল তৈরির জন্য কারখানা গড়ে উঠবে। ”ইথানল প্রোডাকশন প্রমোশন পলিসি চালু করবে রাজ্য”। দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে এই শিল্পে যা থেকে রাজ্যে ৪৮ হাজার মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হবে বলে জানান তিনি।
সেই সঙ্গে রাজ্যে ডেটা ইন্ডাস্ট্রি তৈরির ঘোষণাও করেন তৃণমূল নেত্রী। আগামী ৫ বছরে রাজ্যে ৪০০ মেগাওয়াট ডেটাসেন্টার তৈরি হবে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, গত ৫ বছরে রাজ্যে ১৩ লক্ষ্য কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। যার মধ্যে অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে।
Comments are closed.