ডিএ নিয়ে ফের একবার মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী। বুধবার বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের কর্মীরা নতুন পে কমিশন অনুযায়ীই ডিএ পান। এবং এই ডিএ দিতে রাজ্যের তহবিল থেকে কত খরচ হয়, এদিন সে হিসেবেও দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ফের একবার দাবি করেন, মহার্ঘ্যভাতা একটি ঐচ্ছিক বিষয়, বাধ্যতামূলক নয়।
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে রাজ্য সরকারের কর্মীদের একাংশ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কোর্টেও মামলা হয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। এই অবস্থায় বিরোধী দল বিজেপির তরফেও প্রচার চালানো হয়েছে, তাদের সরকার ক্ষমতায় এসে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেবে। এদিন সে নিয়েও জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ভোট এলে অনেকেই এসে অনেক কথা বলে যান। বিজেপির পাশাপশি এদিন পূর্বতন সিপিএমকেও একহাত নিয়েছেন তিনি। বলেন, অনেকেই অনেক কথা বলছেন। ওদের সময় ডিএ কত বাকি ছিল? বামফ্রন্ট সরকার দেনা করে গিয়েছে, সেই ঋণের টাকা আমাদের শোধ করতে হচ্ছে।
হিসেব দিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন পে কমিশন কার্যকর করতে গিয়ে রাজ্য সরকারের ২ লক্ষ্য ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে। ৬ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়েছে।
Comments are closed.