সিঙ্গুরে জমি ফেরত দেওয়া ছিল তাঁর সরকারের প্রথম সিদ্ধান্ত। এক দশক বাদে সেই কথা মনে করিয়ে দিল্লির সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের হয়ে সুর চড়ালেন মমতা ব্যানার্জি। সরাসরি বিঁধলেন কেন্দ্রের মোদী সরকারকে। ঘটনাচক্রে সোমবারই ছিল দিল্লির সীমান্তে চলা কৃষক আন্দোলনের ২০০তম দিন।
সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানার জন্য জোর করে জমি নেওয়া হয়েছিল। ২০১১ সালে পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় এসেই জমি ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আজ থেকে ১০ বছর আগে ২০১১ সালের ১৪ জুন বিধানসভায় পাস হয় Singur Land Rehabilitation and Development Bill 2011.
সিঙ্গুর জমি বিলে ভর করে মমতা ব্যানার্জির সরকার অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দেয়। এবার সেই কৃষকদের দেশ তথা জাতির মেরুদণ্ড আখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইট, কেন্দ্রীয় উদাসীনতায় দেশের কৃষক ভাইরা সীমাহীন কষ্ট ভোগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। সমাজের ‘মেরুদণ্ড’ কৃষকদের ভালো থাকা নিশ্চিত করতে সবাইকে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। কৃষকদের অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার।
Today, it pains me that across the nation our farmer brethren are suffering owing to the indifference of the Centre.
Together, we shall continue our fight to ensure the well-being of the very backbone of our society. Upholding their rights remains a top priority. (2/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 14, 2021
দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের শুরু দিন থেকে সমর্থন জানিয়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধি দল ঘুরে এসেছে সিঙ্ঘু বর্ডার। আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মমতা। তারপর কৃষক নেতা বাংলার ভোটে মমতাকে জয়ী করার আহবান জানান। রাজ্যে এসে বিজেপির বিরোধিতা করে মিটিংও করেন টিকায়েত।
কয়েকদিন আগেই কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েত নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে বিপুল জয়ের শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি আবেদন করেন, কৃষক স্বার্থে বিজেপি বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের একজোট করার। তৃণমূল নেত্রী টিকায়েতের আবেদন মেনে নেন। কথা দেন, বিজেপি বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলবেন তিনি।
এই প্রেক্ষিতে ১ দশক আগের সিঙ্গুর জমি বিলের মাধ্যমে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা মনে করিয়ে মোদী সরকারকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই সঙ্গে কৃষকদের সমাজের মেরুদণ্ড আখ্যা দিয়ে দাঁড়ালেন আন্দোলনকারীদের পাশে।
Comments are closed.