বাঁকুড়ার জনসভা থেকেই ভোটের ঢাক বাজিয়ে দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। বলেছেন, এখন থেকে দলের জন্য বেশি করে সময় দেবেন। জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূল কর্মী হিসেবে সব জেলা, ব্লক বা বিধানসভার পর্যবেক্ষক তিনিই। পুরোদস্তুর ইলেকশন মোডে ঢুকে পড়েছেন মমতা। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ৪ ডিসেম্বর, শুক্রবার দলনেত্রী ভার্চুয়াল বার্তায় রাজ্যের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর ৭ তারিখ নির্বাচনী জনসভা শুরু করবেন পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে।
তৃণমূল নেতৃত্বের একটি বড়ো অংশ মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারী দলে থাকবেন না। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু কী করেন তাঁর দিকে যেমন নজর রাখছে তৃণমূল, তেমনই শুভেন্দুকে বাদ দিয়েই আগামী বিধানসভায় বিজেপিকে টক্কর দেওয়ার রণনীতি চূড়ান্ত করছেন মমতা ব্যানার্জি। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের একটি অংশ মানসিকভাবে শুভেন্দুকে ছাড়াই লড়তে হবে বলে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মমতা ব্যানার্জিকে ভোটের এত আগে ময়দানে নামতে দেখেননি তাঁরা। সেই অর্থে ৭ ডিসেম্বর, সোমবার মেদিনীপুরে মমতার মিটিং তাৎপর্যপূর্ণ। শুভেন্দু অধ্যায়ের পর দলনেত্রী সেই সভা থেকে কী বার্তা দেন, তার দিকে তাকিয়ে কর্মীরা। শুভেন্দু অধ্যায়ে সেদিন কি পাকাপাকি দাঁড়ি পড়তে চলেছে?
সোমবারের পর ৯ ডিসেম্বর মমতার পরবর্তী সভা বনগাঁয়। গত লোকসভায় যেখানে মতুয়া ভোট ঢুকেছে বিজেপির বাক্সে। কিন্তু নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা নিয়ে সম্প্রতি বিজেপির সমালোচনা শোনা গিয়েছে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের মুখে। পাশাপাশি মতুয়া বোর্ড গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। ফলে উত্তর ২৪ পরগনার সভা গুরুত্বপূর্ণ। এ মাসের মাঝামাঝি তৃণমূল নেত্রী যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ। সূত্রের খবর, সোমবার থেকেই পুরোদস্তুর নির্বাচনী গিয়ারে চলে যাচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি। আর আগামী যুদ্ধের পরিকল্পনা রচনা চলছে শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দিয়েই।
Comments are closed.