সোমবার পুরভোট নিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সভা ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যের সমস্ত পুরসভা ও কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, মেয়র, ডেপুটি মেয়র, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়া জেলা, মহকুমা, ব্লক স্তরের নেতাদেরও থাকতে বলা হয়েছে। এই প্রথম তৃণমূলের কোনও সভায় বার কোড দেওয়া আমন্ত্রণপত্র তৈরি করা হয়েছে। জেলায় জেলায় নেতারা সভা ডেকে বাছাই করা নেতাদের সভার কার্ড বিলি করেছেন। কাউন্সিলররা তো অবশ্যই থাকবেন। তাঁদেরও ওই বার কোডের আমন্ত্রণপত্র গলায় ঝুলিয়ে ইন্ডোরে ঢুকতে হবে। সঙ্গে কার্ড না থাকলে কেউ ঢুকতে পারবেন না। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এই সভার গুরত্ব কতটা। পরের দিন আবার শুধু কলকাতার কাউন্সিলর এবং নেতাদের নিয়ে সভা হবে।
এদিকে এই দুই সভাকে ঘিরে দলীয় কাউন্সিলরদের হৃদকম্প শুরু হয়েছে। কে কখন ‘দিদি’র কোপে পড়বেন, মূলত দুশ্চিন্তা তা নিয়েই। লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরেই তিনি জেলায় জেলায় দলের বৈঠক করে নেতা ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একেবারে নাম ধরে ধরে দাঁড় করিয়ে ধমকেছেন। যাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি থেকে শুরু করে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি। এই বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যই তিনি ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে (পি কে) নিয়োগ করেছেন। পি কে-র আই-প্যাক্ট সংস্থা নিযুক্ত হয়েই কাজ শুরু করে দিয়েছে। পি কে চালু করেছেন ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। জেলায় জেলায় এই কর্মসূচিতে সাড়াও পড়েছে। দলের যে সব নেতা-মন্ত্রী এই কর্মসূচিতে অংশ নেননি কিংবা ঢিলেমি দিয়েছেন, পি কে-র টিম তাঁদের চিহ্নিত করেছে, সতর্কও করেছে। কর্পোরেশন এবং পুরসভাগুলিতে কাজ কেমন হয়েছে, কোন কোন কাউন্সিলর কেমন কাজ করেছেন, কারা কাজে ফাঁকি দিয়েছেন, কারা সিন্ডিকেটকে মদত দিয়েছেন, তোলাবাজিতে জড়িয়েছেন, মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন, পি কে-র টিম তাঁদেরও চিহ্নিত করেছে। পুরসভা ধরে ধরে ওই টিম রিপোর্ট তৈরি করে নেত্রীর হাতে তুলে দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, সোমবার ওই রিপোর্ট হাতে নিয়েই নেত্রী সভা করবেন। ভাষণ দিতে দিতেই তিনি কাকে দাঁড় করিয়ে কী বলবেন, কেউ জানেন না। কার মুখোশ একবারে হাটের মধ্যে খুলে দেবেন, কেউ জানেন না। জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের দুরমুষ করেন, দলের বৈঠকে যে সেই দুরমুষ আরও কয়েক গুণ বেশি হবে, তা বোঝাই যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, পি কে-র রিপোর্টে অনেক কাউন্সিলর ও নেতার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, এমনও হতে পারে, দিদি সভা থেকেই হয়ত ঘোষণা করে দিলেন, পুরভোটে এঁরা এঁরা টিকিট পাবে না। সোমবারের সভার আগে এই দু’দিন রাতে অনেকেরই ভালো করে ঘুম হবে না বলে মন্তব্য করেন অন্য এক রসিক নেতা।
দলীয় সূত্রের খবর, সভায় পুরভোটের প্রচার কৌশল ঠিক করে দেবেন নেত্রী। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির পর ফের নতুন কোনও কর্মসূচি আনা হতে পারে। সেটা কী, তা অবশ্য দু’একজন ছাড়া কেউ জানেন না। সোমবারের ওই বৈঠকে প্রশান্ত কিশোরও উপস্থিত থাকতে পারেন। তিনি থাকতে পারেন বক্তা তালিকাতেও।
এদিকে এই দুই সভাকে ঘিরে দলীয় কাউন্সিলরদের হৃদকম্প শুরু হয়েছে। কে কখন ‘দিদি’র কোপে পড়বেন, মূলত দুশ্চিন্তা তা নিয়েই। লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরেই তিনি জেলায় জেলায় দলের বৈঠক করে নেতা ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একেবারে নাম ধরে ধরে দাঁড় করিয়ে ধমকেছেন। যাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি থেকে শুরু করে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি। এই বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যই তিনি ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে (পি কে) নিয়োগ করেছেন। পি কে-র আই-প্যাক্ট সংস্থা নিযুক্ত হয়েই কাজ শুরু করে দিয়েছে। পি কে চালু করেছেন ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। জেলায় জেলায় এই কর্মসূচিতে সাড়াও পড়েছে। দলের যে সব নেতা-মন্ত্রী এই কর্মসূচিতে অংশ নেননি কিংবা ঢিলেমি দিয়েছেন, পি কে-র টিম তাঁদের চিহ্নিত করেছে, সতর্কও করেছে। কর্পোরেশন এবং পুরসভাগুলিতে কাজ কেমন হয়েছে, কোন কোন কাউন্সিলর কেমন কাজ করেছেন, কারা কাজে ফাঁকি দিয়েছেন, কারা সিন্ডিকেটকে মদত দিয়েছেন, তোলাবাজিতে জড়িয়েছেন, মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন, পি কে-র টিম তাঁদেরও চিহ্নিত করেছে। পুরসভা ধরে ধরে ওই টিম রিপোর্ট তৈরি করে নেত্রীর হাতে তুলে দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, সোমবার ওই রিপোর্ট হাতে নিয়েই নেত্রী সভা করবেন। ভাষণ দিতে দিতেই তিনি কাকে দাঁড় করিয়ে কী বলবেন, কেউ জানেন না। কার মুখোশ একবারে হাটের মধ্যে খুলে দেবেন, কেউ জানেন না। জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের দুরমুষ করেন, দলের বৈঠকে যে সেই দুরমুষ আরও কয়েক গুণ বেশি হবে, তা বোঝাই যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, পি কে-র রিপোর্টে অনেক কাউন্সিলর ও নেতার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, এমনও হতে পারে, দিদি সভা থেকেই হয়ত ঘোষণা করে দিলেন, পুরভোটে এঁরা এঁরা টিকিট পাবে না। সোমবারের সভার আগে এই দু’দিন রাতে অনেকেরই ভালো করে ঘুম হবে না বলে মন্তব্য করেন অন্য এক রসিক নেতা।
দলীয় সূত্রের খবর, সভায় পুরভোটের প্রচার কৌশল ঠিক করে দেবেন নেত্রী। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির পর ফের নতুন কোনও কর্মসূচি আনা হতে পারে। সেটা কী, তা অবশ্য দু’একজন ছাড়া কেউ জানেন না। সোমবারের ওই বৈঠকে প্রশান্ত কিশোরও উপস্থিত থাকতে পারেন। তিনি থাকতে পারেন বক্তা তালিকাতেও।
Comments are closed.