সোমবারই দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মোকা তৈরি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। দিন দুয়েকের মধ্যে যা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হয়ে উপকূলে আছড়ে পড়বে। তবে এর প্রভাব রাজ্যে তেমন পড়বে বলেই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। এদিন এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোকার’ কথা শোনা যাচ্ছে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। আন্দামানের দক্ষিণে এর প্রভাব পড়বে। ১০ এবং ১১ মে সুন্দরবোন এবং দীঘাতে বাড়তি সতর্কতা জারি হয়েছে। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, রাজ্যের সেচ দফতরকে বাড়তি নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুমও।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ১১ মে ঘূর্ণিঝড় মোকা বাংলাদেশ অভিমুখ হয়ে মায়ানমার চলে যাবে। রাজ্যে এর তেমন প্রভাব না পড়লেও, উপকূলের জেলাগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ইতিমিধ্যেই নবান্নের তরফেও কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি উপকূলের প্রতিটি জেলাতেই কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আশ্রয় শিবিরগুলোতেও ত্রাণ মজুত করে রাখা হচ্ছে।
Comments are closed.