বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, আসানসোল, বনগাঁর পর মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ। প্রথমে কোচবিহার তারপর জলপাইগুড়িতে জনসভা করবেন তিনি। মমতা ব্যানার্জি উত্তরের এই দুই জেলার জন্য নতুন কী বার্তা দেবেন, তা নিয়ে চলছে জল্পনা।
করোনা পর্বের পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম জেলা সফর ছিল জলপাইগুড়ি। উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন তিনি। কিন্তু উত্তরবঙ্গে মমতার প্রকাশ্য জনসভা দীর্ঘদিন পর।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মমতা ব্যানার্জির জোড়া জনসভা একাধিক কারণে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। লোকসভার বিধানসভাওয়ারি ফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গ থেকে তৃণমূলের দুই মন্ত্রী গৌতম দেব (পর্যটন মন্ত্রী) এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নিজের কেন্দ্রে পিছিয়ে পড়েছেন। জলপাইগুড়ি জেলার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে গৌতম দেব ও কোচবিহারের নাটাবাড়ি থেকে লড়েন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এখানেই শেষ নয়, তৃণমূলকে ভাবাচ্ছে রাজ্যের উত্তরতম পরপর ৪টি লোকসভা আসন কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং, অর্থাৎ ২৮ টি বিধানসভা আসন। যার মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ২৪ টি আসনে। তৃণমূলের লিড মাত্র ৪ আসনে।
এই পরিস্থিতিতে জনসভা করতে তৃণমূল নেত্রী বেছে নিলেন কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি।
জোড়া সভা থেকে কী বার্তা দেবেন নেত্রী? রাজবংশী সম্প্রদায়ের জন্য কী থাকছে নতুন কোনও সুবিধা? নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিজেপির আগ্রাসী প্রচার উপনির্বাচনে তাঁদের বিরুদ্ধে গেছে বলে মনে করছেন উত্তরের বিজেপি নেতৃত্ব। লোকসভার নিরিখে বিপুল ভোটে পিছিয়ে থাকা কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির লোকসভার লিড ছাপিয়ে রেকর্ড ভোটে জেতে তৃণমূল। এবারের ভোটে সিএএ নিয়ে বিজেপির গেম প্ল্যান কী? তা জানা না গেলেও মমতা যে বিরোধিতার রাস্তা থেকে সরবেন না, তা স্পষ্ট।
উত্তরবঙ্গে বিজেপির রমরমা রুখতে সংগঠনে কী কোনও বদল আনবেন মমতা? জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে হৃত জমি পুনরুদ্ধারে কী কৌশল নেয় তৃণমূল, তারই দিশানির্দেশ দেবেন মমতা ব্যানার্জি।
Comments are closed.