বিলগ্নিকরণ কোনও স্থায়ী সমাধান না, দেশের হাতে কী থাকবে? কেন্দ্রের বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ মমতার

দেশের হাতে তবে কি থাকবে? দেশ চলবে কীভাবে? এভাবে গোটা দেশই বিলগ্নিকরণ হয়ে যাবে। ভারত পেট্রোলিয়াম সহ পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তে মোদী সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারত পেট্রোলিয়াম (বিপিসিএল), কনটেনার কর্পোরেশন (কনকর), শিপিং কর্পোরেশন, নিপকো ও টিহরি জল বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম (টিএইচডিসিএল), এই পাঁচটি সংস্থার শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে তিনটি সংস্থার উপর আর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকছে না। মোদী সরকারের এই বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, বিলগ্নিকরণ কখনও স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। মমতার কটাক্ষ, যে এয়ার ইন্ডিয়ার মতো সংস্থার নামের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি জুড়ে আছে তাকেই বেসরকারিকরণ করছে কেন্দ্র। এই বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তে বিপুল কর্মসংস্থান খোয়া যাবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, বিলগ্নিকরণ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর।
বুধবার মোদী মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানান, বিপিসিএল শিপিং কর্পোরেশনের যত শেয়ার সরকারের হাতে আছে তার সবটাই বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারিকরণের যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রকে নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন, একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেচে দিলে দেশের সরকারের হাতে কি থাকবে? এই বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তকে ‘গুরুতর পরিস্থিতি’ বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, একে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে, তারপর এই বেসরকারিণের ফলে সমস্যা আরও ঘোরতর হবে। মানুষের কর্মসংস্থান কমে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, এর আগে নোটবন্দি করে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলেছিল মোদী সরকার। এবার একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণে গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হবে। মমতা জানান, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে তবেই বেসরকারিকরণের দিকে পা বাড়ানো উচিত মোদী সরকারের।

Comments are closed.