রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নবান্ন সূত্রে খবর, এটা নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ। কিন্তু নাবান্ন- রাজভবন বিতর্কের আবহে মুখ্যমন্ত্রীর এই যাত্রা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিনই পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্যপাল। তিনি মন্তব্য করেন, ঠাকুরের কাছে তিনি প্রার্থনা করেছেন বাংলায় শান্তির পরিবেশ ফিরে আসুক। নির্বিঘ্নে হোক বিধানসভা ভোট। তাঁর অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী নিজে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন না। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত বলে যে আক্রমণ শানাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তার তীব্র বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ভারতের মধ্যে কেউ বহিরাগত নন। এমন ভাবনা আসলে সংবিধানের মূলে কুঠারাঘাত করা বলে মন্তব্য করেন ধনখড়। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, আমফানের পর বিকল হয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। দুর্যোগের পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, প্রশ্ন তোলেন তিনি। করোনায় দুর্নীতি নিয়ে আদালত তদন্তের নির্দেশ দিলেও রাজ্য তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন ধনখড়। আবার এদিনই রাজ্যপাল কে নিশানা করেছে তৃণমূলও। রাজভবন বিজেপির পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে বলে বুধবার কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এই প্রেক্ষিতে এদিনই মমতা ও ধনখড়ের ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’কে ঘিরে তীব্র কৌতূহল ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।
Comments are closed.