৫ হাজারেরও বেশি বাস রাস্তায় চলছে। কিন্তু তাও সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। সবাই ঠিক সময়ে অফিসে ঢুকতে পারছেন না কারণ পর্যাপ্ত পরিবহণ ব্যবস্থা নেই। বাসেও ভিড় হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাসে ভিড় কমাতে সরকারি অফিসের কার্য সময় বদলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
তিনি বলেন, এখন থেকে সমস্ত সরকারি অফিসের ডেপুটি সেক্রেটারি স্তর পর্যন্ত কর্মীরা দুই শিফটে কাজ করতে পারবেন। এতদিন সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত কাজ চলত সরকারি অফিসে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার থেকে হবে দুটি শিফট। প্রথম শিফট সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। দ্বিতীয় শিফট বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এর ফলে একই সময় অনেক কম সংখ্যক মানুষ পথে নামবেন। ফলে বাসেও তুলনামূলকভাবে কম মানুষ উঠবেন। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখতে সুবিধা হবে। বাসে ভিড় নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি পথে বেরোনো মানুষদের কাছে আবেদন জানান। তিনি বলেন, দয়া করে সিটে বসে যান। একটা বাস ছেড়ে দিলে ক্ষতি হবে না, কিন্তু ভাইরাসের সংক্রমিত হলে বিপদ। মমতার কথায়, প্রাণের দাম সবচেয়ে বেশি। এমনিতেই সরকারি অফিসে একদিন অন্তর ৭০ শতাংশ কর্মী কাজে যোগ দিচ্ছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার বলেন, কর্মীদের উপস্থিতির ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফের একবার মাস্কের প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করিয়ে দেন।
বেসরকারি ক্ষেত্রের অফিস কর্তৃপক্ষের কাছেও মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, পারলে ওয়ার্ক ফ্রম হোম জারি রাখুন। একান্তই তা না পারলে একাধিক শিফটে কর্মীসংখ্যাকে ভেঙে দিন।
স্কুল কলেজ কবে খুলবে তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও মমতা এদিন বলেন, স্কুল খুলতে জুলাই হয়ে যাবে। জুলাই মাসেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, দয়া করে এ বছর স্কুলের ফিজ বাড়াবেন না।
Comments are closed.