ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে শহিদ মিনার ময়দানে দাঁড়িয়ে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ২০০ আসন জিতবেন বলে দাবি করে গিয়েছেন অমিত শাহ। সোমবার শহিদ মিনারের ঢিল ছোড়া দুরত্বে নেতাজি ইনডোরে দাঁড়িয়ে তার জবাব দিলেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি বাজিয়ে দিলেন ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের দামামা। মমতার প্রশ্ন, ২০০ আসন কেন? কংগ্রেস-সিপিএম বাকি আসনগুলো জিতেছে বলে? এই সূত্রেই সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে মিলিয়ে দিলেন বিজেপিকে।
বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে একের বিরুদ্ধে এক। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে এই স্লোগান দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তারপর বিধানসভাতে দাঁড়িয়েও কংগ্রেস-সিপিএমকে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি বিরোধিতার আবেদন রেখেছেন মমতা। কিন্তু সাড়া মেলেনি অন্য অর্ধ থেকে। বরং গত লোকসভার ফলে বোঝা গিয়েছে, কংগ্রেস-বামেদের ভোট গিয়ে ঢুকছে বিজেপির ভোটবাক্সে। সোমবার নেতাজি ইনডোরের দলীয় সভা থেকে দলীয় কর্মীদের মমতার হুঁশিয়ারি, তৃণমূলের জেতা ২০০ আসন দখল করতে জোট বেঁধেছে বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম। দলীয় কর্মীদের প্রতি মমতা নির্দেশ, একলা লড়েই ওদের রুখতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট ২৯৪ আসন, দেখি কেমন লড়তে পারো।
দেশ থেকে বিজেপিকে তাড়াতে এদিনই মমতা ঘোষণা করেন একগুচ্ছ কর্মসূচির। সেখানে রাজ্যে আসন্ন ভোটগুলোতে একলা চলার বার্তা দেন মমতা। তৃণমূল নেত্রী স্বীকার করেছেন দলের মধ্যে অনেক দুর্বলতা ছিল। পাশাপাশি বার্তা দিয়েছেন, দলের থেকে কেউ বড় নয়। মমতার কথায়, ভালো কাজ করলে টিকিট সিকিওর কিন্তু খারাপ কাজ করলে প্রথম থেকেই ইনসিকিওর। অন্যায় করলে দল কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না বলেও এদিন উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের হুঁশিয়ারি দেন দলনেত্রী। পাশাপাশি মান অভিমান ভাঙিয়ে পুরনো তৃণমূল কর্মীদেরও ফিরিয়ে আনার বার্তাও ফের একবার দেন মমতা। তাঁর কথায়, নেতা নয়, তৃণমূলের সম্পদ হল কর্মীরা।
এদিন বাংলার গর্ব মমতা অনুষ্ঠান থেকে কার্যত বিজেপি বিদায়ের ঘণ্টা বাজালো তৃণমূল। আর তাই কেবলমাত্র ভোটের দিকে তাকিয়ে নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে বিজেপির রাজনীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছেন প্রশান্ত কিশোর, অভিষেক ব্যানার্জিরা। মমতা ব্যানার্জি বলেন, দেশ থেকে স্বৈরাচারী সরকারকে না হঠানো অবধি লড়াই চলবে।
Comments are closed.