নয়া আইন আর এনআরসি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, ফের জানালেন মমতা, রাজাবাজার থেকে মল্লিকবাজার পর্যন্ত মিছিলে জনজোয়ার
নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাদের এই গণআন্দোলন চলবে বলে ফের জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Padyatra)। তিনি বলেন, এই অধিকার রক্ষার লড়াই প্রাণ দিয়ে চালিয়ে যাব। বিজেপি গায়ের জোরে আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা করছে। পরিষ্কার শুনে রাখুন বিজেপির নেতারা, তাতে কোনও লাভ হবে না।
বৃহস্পতিবার নাগরিকত্ব ও এনআরসির বিরুদ্ধে কলকাতায় পঞ্চম দিনের পদযাত্রা করেন মমতা। রাজাবাজার থেকে মল্লিকবাজার পর্যন্ত মিছিলের আগে সভা থেকে মমতার কটাক্ষ, এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিজেপি নেতারা পরস্পরবিরোধী কথা বলছেন। কর্ণাটকে আন্দোলনকারীদের মৃত্যুতে সরকারি সাহায্য না দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি। এই পরিপ্রেক্ষিতে মমতা (Mamata Padyatra) জানান, তাঁর দলের ট্রেড ইউনিয়নের তরফে কর্ণাটকের নিহত পরিবারদের সাহায্য করা হবে। শীঘ্রই তাদের প্রতিনিধি দলকে কর্ণাটকে পাঠানো হবে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে, অসম সহ বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলনে মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন গায়ের জোরে বন্ধ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে প্রতিটি ছাত্র আন্দোলনে তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। মিছিল শেষে মল্লিকবাজার থেকেও মমতা জানান, ছাত্রাবস্থায় তিনি অনেক আন্দোলন করেছেন। তিনি জানেন কোন আন্দোলন সঠিক, কোনটি নয়। কিন্তু বিজেপি সরকার এই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে ভয় পেয়ে পড়ুয়াদের উপর জুলুম করছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে হস্টেল থেকে পড়ুয়াদের বের করে দেওয়া হচ্ছে।
তাঁর আরও অভিযোগ, ভিন রাজ্যের বিজেপি নেতারা এ রাজ্যে এসে হিংসা ছড়াচ্ছেন। বাংলায় এসে মিটিং-মিছিল করছেন, কিন্তু তাঁদের কোনও বাধার মুখে পড়তে হয়নি। তারপরেও বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা নেই বলে বলা হচ্ছে। মমতা জানান, উত্তরপ্রদেশে ১৬ আন্দোলনকারীর মৃত্যুতে তাঁদের পরিবারকে সমাবেদনা জানাতে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু লখনউ বিমানবন্দর থেকে তাঁদের ফিরে আসতে বাধ্য করা হয়। সুতরাং কোথায় আইন-শৃঙ্খলা নেই তা বুঝে নিন, বলেন মমতা।
পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ সরকার যে ৬০ জনকে আন্দোলনের নামে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের জন্য নোটিস পাঠিয়েছে, তারও বিরোধিতা করেন মমতা। তাঁর কথায়, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করার জন্য আইন অবশ্যই আছে। কিন্তু কোনও স্বতঃস্ফূর্ত গণ আন্দোলনে ক্ষতি হলে তার দায় দেওয়া যায় না। বিজেপি সরকারের উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, এখনও সময় আছে, নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করুন।
Comments are closed.