রাজ্যে আংশিক লকডাউনে বিধি নিষেধ কিছুটা শিথিল করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তবে করোনা বিধি নিষেধ জারি থাকবে ১৫ জুন পর্যন্তই।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বেলা ১২ টা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত সমস্ত খুচরো দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইটি সেক্টরে ১০% কর্মী নিয়ে এবার থেকে কাজ করা যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নির্মাণশিল্পের শ্রমিকদের টিকাকরণের দায়িত্ব মালিকপক্ষ নিলে, সেক্ষেত্রে কমীদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর কাজ করতে পারে।
করোনা ও যশ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন ব্যানার্জি।
যশ বিধস্ত দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসকরা এদিন ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দুর্গত এলাকার ত্রাণ, বাঁধ মেরামতি প্রভৃতি বিষয়গুলি নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন তিনি।
বেশ কিছু ত্রাণ শিবিরে দুর্গত এলাকাবাসীরা প্রয়োজনীয় খাওয়ার, পানীয় জল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ওঠে। গোসাবার কয়েকটি ত্রাণ শিবির থেকে অভিযোগ আসে। মমতা জানান, সোমবার সকালেই বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন। বৈঠক থেকে ফের আর একবার বার্তা দেন, ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের পানীয় জল, খাওয়ার নিয়ে যেন কোনওরকম অভাব না থাকে।
মমতা আরও বলেন যশে মৎসজীবীদেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাঁদেরও সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
বৈঠক থেকেই মমতা মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন, ফ্লাড সেন্টার, হিম ঘর, এবং শষ্য মজুত রাখার গুদাম তৈরির জন্য প্রয়োজিনীয় অর্থ চেয়ে নীতি আয়োগকে চিঠি লিখতে। মমতার দাবি, যশের আগে মানুষের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে এসে আশ্রয় দেওয়া গিয়েছে বলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর মমতা বলেন, যশের ক্ষয়ক্ষতির জন্য এখনও কেন্দ্র রাজ্যকে কোনও টাকা পাঠায়নি। তিনি এও জানান, রাজ্যের পক্ষ থেকে শুধু মাত্র ক্ষয়ক্ষতির হিসেবে দেওয়ায় হয়েছে, কেন্দ্রের কাছে কোনরকম টাকা চাওয়া হয়নি।
মুখ্যসচিবের বদলি সংক্রন্ত বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা বিষয়ে মমতা বলেন, যেহেতু কেন্দ্র রাজ্যকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল, তার জবাব দেওয়া সৌজন্যতার মধ্যে পড়ে।
Comments are closed.