দুয়ারে সরকারের এবারের মূল আকর্ষণ লক্ষীর ভাণ্ডার। একুশের নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে মমতা ব্যানার্জি বারবার বলেছিলেন, তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে তিনি চালু করবেন লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পে তিনি মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। আর তপশিলী উপতপশিলী জাতির জন্য মাসে ১০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী।
কথামত তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেই লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দুয়ারে সরকারে এবার লক্ষীর ভাণ্ডারের লাইন সবথেকে দীর্ঘ। নবান্ন সূত্রের খবর, এই প্রকল্পের জন্য সরকারের খরচ হচ্ছে বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য বছরে ২ কোটি মহিলাকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা দেওয়া। কিন্তু এরমধ্যেই ২ কোটির কাছাকাছি আবেদন জমা পড়েছে। তাই বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকার অনেক বেশি খরচ হতে পারে বলে মনে করছে রাজ্যের অর্থ দফতর।
বাংলা নিজের মেয়েকেই চায় স্লোগানকে হাতিয়ার করেছিল তৃণমূল। সেইমত বাংলার মা বোনেদের ভোট পেয়েছিল মমতা ব্যানার্জি। আর ভোট প্রচারে এক পায়ে চোট নিয়ে তৃণমূল নেত্রী বারবার বলেছিলেন, তাঁর আরেকটি পা বাংলার মা বোনেদের। রাজ্যে এবার মহিলা ভোটার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ ৷ এরমধ্যে বেশিরভাগ মহিলাদের সমর্থনই পেয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। ভোটের আগে দুয়ারে সরকারের কেন্দ্রবিন্দু ছিল স্বাস্থসাথী। সেই প্রকল্পও ছিল মহিলাদের জন্য। আর ভোটের পর লক্ষীর ভাণ্ডার এনে রাজ্যের মহিলাদের আরও কাছে চলে এসেছেন মমতা ব্যানার্জি।
Comments are closed.