রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি করোনা সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম সভা মুলতুবি রাখার কথা ঘোষণা করল তৃণমূল। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি জানান, রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ এই সভা বাধ্য হয়ে মুলতুবি রাখছেন তাঁরা। সুব্রতবাবুর কথায়, নন্দীগ্রামের ওই সভার অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বিধায়ক। কিন্তু তিনি করোনা সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অখিল গিরিকে বাদ দিয়ে এই কর্মসূচি করতে চায় না দল। তাই ৭ জানুয়ারির নন্দীগ্রাম সভা আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। তবে পরে অবশ্যই নন্দীগ্রামে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, জানান সুব্রতবাবু।
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামের বিধায়ক থেকে ইস্তফা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল মমতার নন্দীগ্রামের তেখালির সভা। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, মমতার অনুপস্থিতিতে ওই সভায় থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তবে সোমবার সেই সভা আপাতত মুলতুবি রাখার কথা জানাল তৃণমূল।
২০০৭ সালের শুরুতে নন্দীগ্রামে যে আন্দোলন হয়েছিল, সেই ক্যালেন্ডারে গুরুত্বপূর্ণ দিন হল ৭ জানুয়ারি। জমি আন্দোলনে ওই দিন তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল। মূলত সেই কারণেই তৃণমূল প্রতি বছর শহিদ স্মরণে বড় করে সমাবেশ করে। এ বার মমতা ওই দিন নন্দীগ্রামে সভা করতে চেয়েছিলেন। আবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর সভার পরদিন, ৮ তারিখে নন্দীগ্রামেই সভার ডাক দিয়ে রেখেছেন। কাঁথির সভা থেকে তিনি জানিয়েছিলেন, ৭ তারিখ মমতা নন্দীগ্রামে গিয়ে তাঁর নামে যা যা অভিযোগ করবেন তৃণমূল নেত্রী, পরদিন তিনি তার জবাব দেবেন। এখন মমতার নন্দীগ্রাম সভা মুলতুবি হওয়ার প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীর ৮ তারিখের কর্মসূচির বদল হয় কিনা সেটাও দেখার।
Comments are closed.