ইন্টারনেট নজরদারি নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, মানুষের কন্ঠ রোধ করতে চাইছে কেন্দ্র
ইন্টারনেটে নজরদারি বাড়াতে নতুন আইন আনতে চলেছে মোদী সরকার। এমন আঁচ পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেই মোদী সরকারকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের এই ‘আচমকা’ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যপাধ্যায়। তিনি ফেসবুকে লেখেন, বিজেপি সরকার এবার নেট নজরদারিতে আইন বদল করতে চলেছে। সাধারণ মানুষের কন্ঠ রোধ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র, যাতে কেউ প্রকাশ্যে নিজেদের বক্তব্য বা সরকার বিরোধী সমালোচনা করতে না পারে তারই অপচেষ্টা চলছে।
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার প্রচার চালিয়ে ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেছিলেন, এখন সেই সোশ্যাল মিডিয়াকেই কেন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার? লোকসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করতে আইন করে সরকার বিরোধী ভাবনা এবং আলোচনা রুদ্ধ করতেই কেন্দ্র এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে বলে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্র সরকার কি বাক স্বাধীনতায় সেন্সরশিপ চালু করতে চাইছে? সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রশ্নও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার অভিমত, সোশ্যাল মিডিয়াই এখন প্রকৃত মিডিয়ার কাজ করছে, যেখানে মানুষ তাঁদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ করেন।
বিজেপি সরকার এই আইন করার আগে সার্বিক বিরোধিতার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরব হওয়ার জন্য তৃণমূলের সাংসদদের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। প্রথমে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই বার্তা পোস্ট করেন। এরপর, ট্যুইট করেও ‘ফলোয়ার’দের এই বার্তা জানান মমতা।
নেট নজরদারিতে আইন বদলানোর আশঙ্কাকে বিজেপি বিরোধী অন্য রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যেও ভাগ করতে চেয়ে মমতা লিখেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন ভ্রান্ত নীতি প্রয়োগ করার উদ্যোগকে বিরোধিতা করার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে সংসদে বিষয়টি নিয়ে সরব হওয়ার জন্য দলের এমপি’দেরও বলেছি।
Comments are closed.