সাড়ে এগারো বছর পর ছাড়া পেলেন বেঙ্কটেশ্বর রেড্ডি ওরফে তেলেগু দীপক। ২০১০-এর মার্চ মাসে সিআইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। সেই সময় সিআইডির তরফে দাবি করা হয়, মাওবাদী সংগঠনের অন্যতম শীর্ষ নেতা হচ্ছেন তেলেগু দীপক। তাঁর বিরুদ্ধে ইউপিএ, দেশদ্রোহ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে সিআইডি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার অলিপুরের তৃতীয় ফাস্ট ট্যাক কোর্টের বিচারপতি রাজেশ তামাং রায় দানের সময় জানান, তেলেগু দীপকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি সিআইডি। ফলে দীর্ঘ সাড়ে এগারো বছর পরে অবশেষে মুক্তি পেতে চলেছেন তেলেগু দীপক।
এর আগে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং হলদিয়া কোর্টের এক্তিয়ার থাকা অনেকগুলি কেস থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছেন তিনি। নন্দীগ্রামে জমি রক্ষায় সশস্ত্র আন্দোলনেও তেলেগু দীপিকের নাম জড়িয়েছিল।
এদিন তাঁর আইনজীবী শুভাশিস রায় বলেন, সাজানো মামলায়, মিথ্যা অভিযোগে ভিন রাজ্যের এক প্রৌঢ়কে এক দশক জেল খাটতে হল। জেলে থাকাকালীন তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন। বৃদ্ধ মা এখন ওনার অপেক্ষায় রয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও বন্দির অধিকার বিবেচনা করে সিআইডিকে দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মাঝে করোনা শুরু হওয়ার জেরেও বিচার প্রক্রিয়া থেমে যায়।
তেলেগু দীপকের মুক্তির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন তাঁরা এমনটাই দাবি করেছেন সিআইডি আধিকারিকরা। তাঁদের কথায়, নন্দীগ্রামের নিশিকান্ত মণ্ডলকে খুন এবং নাশকতার মামলা চলছে এখনও ওঁর বিরুদ্ধে। সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন।
Comments are closed.