মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার উদ্যোগ নিল নবান্ন। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল সিআইডিকে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, সিজারিয়ান অপারেশনে যুক্ত ছিলেন ট্রেনি ডাক্তাররা, যা একেবারেই হওয়ার কথা নয়। সিনিয়র চিকিৎসক থাকা উচিত ছিল। নির্দিষ্ট বিধিও মানা হয়নি। তাই স্যালাইন তথা প্রসূতি মৃত্যু কাণ্ডে এবার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি বিভাগীয় অনুসন্ধান চালাবে স্বাস্থ্যদপ্তরও। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান মুখ্যসচিব ডঃ মনোজ পন্থ। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দোষীদের কোনওভাবেই ছাড়া হবে না। আমরা কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করব না।
স্যালাইনে ক্ষতি হলে হাসপাতালের দায় থাকবে না, প্রসূতিদের টিকিটে এমন মুচলেকা লেখানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই বিষয়টিও তদন্তের আওতায় থাকছে।
ইতিমধ্যেই এই কাণ্ডে স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জমা পড়েছে। সেই তালিকায় অন্যতম, ঘটনার সময় অর্থাৎ বুধবার এবং বৃহস্পতিবার মিলিয়ে ৪৮ ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ। সঙ্গে কয়েকজন নার্সের গোপন জবানবন্দি। সরকারি নথি ও টিকিট বিকৃত করা, মুচলেকা লেখানো, ঘটনার দিন সহ প্রায়শই রাতে সিনিয়র ডাক্তার না থাকা, অপারেশন থিয়েটারের বেহাল দশা, স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বললে কটাক্ষের শিকার হওয়া সহ বিস্ফোরক সব অভিযোগের নথি রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের ইউনিট ১ সি-এর চিকিৎসকরা সেদিন ডিউটিতে ছিলেন। ওটিতে থাকার কথা ছিল ওই বিভাগের একজন আরএমও, দু’জন সহকারী অধ্যাপক এবং তিনজন সিনিয়র রেসিডেন্টের। সঙ্গে অ্যানাস্থেসিওলজি বিভাগের একজন এসআর। অভিযোগ, এর মধ্যে পাঁচজন সেদিন হাসপাতাল চত্বরেই ছিলেন না। অপারেশনের দায়িত্ব সারেন তিন পিজিটি।
Comments are closed.