রূপা বনাম বিজেপির লড়াইয়ে নাটকীয় ‘৮৬’-তে জয় ছিনিয়ে নিলেন চন্দ্রিমা-পুত্র সৌরভ 

পুরভোটে ১৪৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে অন্যতম চর্চিত ওয়ার্ড ছিল দক্ষিণ কলকাতার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ড। গত নির্বাচনে এই ওয়ার্ডটি বিজেপির দখলে ছিল। একুশের পুরভোটে রাজ্য বিজেপি প্রার্থী ঘোষণার পর দলকেই নজিরবিহীন ভাবে আক্রমণ করেন রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি। রূপা বনাম বিজেপি তরজায় সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। যার জেরে স্বাভাবিক ভাবেই ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। গণনা শেষে দেখা গেল, রূপার নির্দল প্রার্থী বনাম বিজেপির লড়াইয়ের মধ্যে গেরুয়া শিবিরের থেকে আসনটি ছিনিয়ে নিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ বসু। 

গত নির্বাচনে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী তিস্তা বিশ্বাস। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলির ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিস্তা। কয়েক মাস আগে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তিস্তার। মনে করা হয়েছিল এই ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হবে তাঁর স্বামী গৌরব বিশ্বাসকে। কিন্তু ওই ওয়ার্ডে গেরুয়া শিবির প্রার্থী করে তরুণ মুখ রাজর্ষি লাহিড়িকে। আর যার জেরেই দলের রাজ্য নেতৃত্বকে প্রকাশ্যে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমন শানান রূপা। তাঁর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, পুর নির্বাচনে টাকার বিনিময়ে টিকিট দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। এখানেই থামেননি তিনি, তিস্তা খুন হয়েছে বলেও বিস্ফরোক দাবি করেন রূপা। 

এদিকে টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ান মৃত তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরব বিশ্বাস। রূপাও প্রকাশ্যে জানান, তিনি নির্দল প্রার্থী গৌরবকেই সমর্থন করবেন। ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডকে ঘিরে ভোটের দিনও চূড়ান্ত নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরী হয়। বিজেপি প্রার্থী রাজর্ষি তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত বলে অভযোগ তোলে গেরুয়া শিবির। হাসপাতালেও ভর্তি হন বিজেপি প্রার্থী। যদিও টানটান উত্তেজনার মধ্যে গণনা শেষে দেখা গেল বিজেপির হাত থেকে ওয়ার্ডটি ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। জয়ী হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ বসু। 

   

Comments are closed.