শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে ফের মমতাকে দায়ী করলেন মোদী। রাজ্যে ভোট প্রচার করতে এসে সভামঞ্চ থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী বললেন, মমতা ব্যানার্জি তফশিলি, দলিত, আদিবাসীদের অপমান করেন। শীতলকুচির ঘটনা আসলে মমতার ছাপ্পা ভোটের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ।
বাংলায় প্রচারে বিরাম নেই মোদীর। সোমবার ফের বাংলায় এসে আরও একবার মানুষকে বোঝাতে চাইলেন বিজেপির বাংলায় ক্ষমতায় আসা কেন গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি এদিন ফের একবার নন্দীগ্রামে মমতা ব্যানার্জি হারছেন বলে দাবি শোনা গেল মোদীর মুখে।
[আরও পড়ুন: শীতলকুচিতে আহত জওয়ানের ভুয়ো ছবি শেয়ার শুভেন্দু-অর্জুন সিংহের!]
ক’দিন আগেই প্রশান্ত কিশোরের বাংলার ভোট সংক্রান্ত কিছু কথা প্রকাশ্যে এনেছিল বিজেপি। সেখানে বাংলার তফশিলি জনসংখ্যার মধ্যে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার প্রবণতার কথা উল্লেখ করেছিলেন তৃণমূলের ভোট কুশলী। আর কোর্টরুম চ্যাট প্রকাশের পর বাংলায় এসে এই লাইনেই মমতাকে বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদী। বারবার উল্লেখ করলেন, তফশিলি, আদিবাসী, দলিতদের জন্য মোদী সরকার কত কাজ করেছে এবং মমতা কী ভাবে সেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন।
কল্যাণীর জনসভায় নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেন, মমতা তফসিলি, দলিত, নমঃশূদ্র, মতুয়াদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চান। মোদীর ব্যাখ্যা, মমতা ওদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চান বলেই ভোট কেন্দ্রে গোলমাল করেছিলেন। দিদির ছাপ্পা ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিল সেই কথা ভেবেই। তাই ঘটেছে শীতলকুচির ঘটনা।
[আরও পড়ুন: রাহুল সিনহা: ৪ কেন ৮ জনকেই গুলি করে মারা উচিত ছিল বাহিনীর!]
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, শীতলকুচির দায় মমতার ঘাড়ে ঠেলার পাশাপাশি দলিত, নমঃশূদ্র, মতুয়া, আদিবাসীদের ভোট ব্যাঙ্ককেও তৃণমূলের থেকে দূরে ঠেলার চেষ্টা করলেন মোদী। তাতে ফল হবে কি? উত্তর মিলবে ২ মে।
Comments are closed.