মা মাটি মানুষের কথা বলা সরকার বাংলার উন্নয়নের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তৃণমূলকে আক্রমণ মোদীর
বিজেপি ক্ষমতায় এসে বাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবে: মোদী
হুগলির ডানলপ ময়দানের সভা থেকে বাংলাকে শিল্পে ভরিয়ে দেওয়ার কথা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি তীব্র আক্রমণ শানালেন মমতা সরকারের দিকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সোমবার মোদীর ভাষণে অনুপস্থিত ভাইপো প্রসঙ্গ।
অভিষেক ব্যানার্জিকে ছেড়ে মোদী নিশানা করেন তোষণের অভিযোগকে। বললেন, মা মাটি মানুষের জন্য কথা বলা লোকেরাই এখন বাংলার উন্নয়নের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। মোদীর অভিযোগ কেন্দ্র টাকা পাঠালেও তৃণমূলের তোলাবাজির জন্য সাধারণ মানুষের কাছে সেই টাকা পৌঁছায় না।
তাঁর দাবি, পানীয় জল প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র ১৭০০ কোটি টাকা দিলেও মাত্র ৬০৯ কোটি টাকা রাজ্য খরচ করেছে। মোদীর মন্তব্য এখান থেকে প্রমাণিত রাজ্য সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের গুরুত্ব নেই। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে, প্রতি ঘরে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে।
পিএম কিষান নিয়ে ফের সরব হন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রের পিএম কিষাণ নিধির টাকা তৃণমূল বাংলার কৃষকদের পেতে দিচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ।
জনসভা থেকে মোদী বলেন, বাংলার মানুষ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। জনতার উদ্দেশ্যের তিনি বলেন, আসল পরিবর্তন চাই।
[আরও পড়ুন- পাওরি হো রাহি হ্যায়! ফাঁকা জনসভার ছবি দেখিয়ে তৃণমূলের ট্রোলিংয়ে বিদ্ধ বঙ্গ বিজেপি]
এদিন পরিকাঠামোর উন্নয়নের পক্ষে সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে কোনও দেশের উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামোর পরিবর্তন প্রয়োজন। দক্ষিনেশ্বর নোয়াপাড়া মেট্রোর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এই নতুন রেল লাইনের ফলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।
মোদী অভিযোগ করেন, পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে পূর্বতন সরকারগুলি কিছু করেনি। হুগলি নদীর দু’পারে শিল্পের কথাও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। তিনি বলেন স্বাধীনতার আগে বাংলা অন্য রাজ্যগুলি থেকে উন্নয়নের দিক থেকে অনেক এগিয়ে থাকলেও এখন বাংলার বেহাল অবস্থা।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি যখনই বিদেশে যান, বাংলার মানুষ তাঁকে বলেন কীভাবে রাজ্যকে সাহায্য করবেন তাঁরা? মোদী অভিযোগ করেন, প্রবাসী বাঙালিরা রাজ্যের সাহায্যে আসতে চাইলেও সাহায্য করার কোনও উপায় নেই। মোদীর অভিযোগ, কাটমানি সংস্কৃতির জন্যই আজ বাংলার এই অবস্থা। বিজেপি ক্ষমতায় এসে বাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবে বলেও এদিন দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Comments are closed.