দেশের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার তিনি বসেছিলেন দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিদের সঙ্গে। মঙ্গলবার মোদী বৈঠক করলেন বণিকসভা কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের (সিআইআই) সঙ্গে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক করার কথা প্রথম সারির অর্থনীতিবিদদের নিয়ে। সরকারি সূত্রের খবর, প্রায় ৫০ জন অর্থনীতিবিদকে ডাকা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ওই বৈঠকে।
শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পরের দিনই, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক জানিয়ে দিল, চলতি বছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশেই আটকে থাকবে। গত বছরও দেশের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। তবু আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। পরিসংখ্যান মন্ত্রক প্রথম আগাম অনুমানে জানিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে মূল্যবৃদ্ধি-সহ জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৭.৫ শতাংশ। যদিও জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় বাজেটের সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেছিলেন, মূল্যবৃদ্ধি-সহ জিডিপি বাড়বে ১২ শতাংশ হারে। অর্থনৈতিক মহল মনে করছে, এবার রাজকোষ ঘাটতি বেড়ে ৩.৪৪ শতাংশ হবে। মানুষের আয় তেমন বাড়বে না। সরকারের রাজস্ব আয়ও খুব একটা বাড়বে না। অর্থনীতিবিদদের একাংশ বলছে, চলতি অর্থবর্ষে কারখানার উৎপাদন বাড়বে মাত্র ২ শতাংশ হারে। বিনিয়োগ বাড়বে ০.৯৭ শতাংশ হারে। সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতির হাল খুবই খারাপ।
সামনেই কেন্দ্রীয় বাজেট। ওই বাজেটে অর্থমন্ত্রী কী দিশা দেখাবেন, তার দিকে তাকিয়ে আছে আমজনতা। প্রশ্ন উঠছে, বাজারে চাহিদা না বাড়লে নতুন লগ্নি আসবে কেমন করে? প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বৈঠকে এটাই জানতে চাইছেন। তিনি বলছেন, যে করেই হোক, শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতেই হবে। সরকারি সূত্রের খবর, অর্থনীতিবিদদের কাছে তিনি জানতে চাইবেন, কোন মন্ত্রবলে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যায়। তিনি আশা করছেন, অর্থনীতিবিদরা নিশ্চয়ই কিছু দাওয়াই বাতলাবেন।
Comments are closed.