ফণীর জন্য সাহায্য করতে চেয়ে দিদিকে দু’বার ফোন করেছিঃ মোদী, ওনার এক্সপেয়ারি ডেট পেরিয়ে গেছে, টাকা নেব কেনঃ মমতা
পঞ্চম দফা ভোটের দিন মোদী-মমতার দ্বৈরথে ফের রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াল বাংলায়। তবে এবার নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক আক্রমণ প্রতি আক্রমণের বিষয় ফণী।
সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নির্বাচনী সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর পর পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি জানাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন তিনি। কিন্তু দু’বার ফোন করার পর ‘দিদি’ তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি বলে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী। তমলুকের সভা থেকে মমতাকে আরও একবার ‘স্পিড ব্রেকার দিদি’ নামে বিঁধে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যের মানুষের কথা চিন্তা করেন না মমতা। কেবল নিজের রাজনৈতিক স্বার্থের কথা চিন্তা করেন তিনি, তোপ মোদীর। তবে যে কোনও অবস্থায় রাজ্যবাসীর পাশেই থাকবে কেন্দ্র, তমলুকের সভা থেকে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর কথায়,’অহংকারী’ মমতার পতন ঘটবে এই ভোটেই। পাশাপাশি, ঝাড়গ্রামে দ্বিতীয় সভা থেকে মমতাকে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন দিদি।
অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের সভা থেকে মমতার পাল্টা অভিযোগ, তাঁকে এড়িয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মমতার তোপ, রাজ্যের মুখ্য সচিব মুখ্যমন্ত্রীর কথায় চলেন, প্রধানমন্ত্রীর নয়। রাজ্যকে সাহায্যের বিষয় কেন মুখ্য সচিবকে জানাবেন প্রধানমন্ত্রী, প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি, মমতার অভিযোগ, আগের বন্যার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন, কিন্তু একটা পয়সাও কেন্দ্র সাহায্য করেনি। মোদীকে খোঁচা দিয়ে মমতা বলেন, আগে বাংলায় বন্যার সময় কোথায় ছিলেন তিনি? মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ফণীতে বাংলায় যা ক্ষতি হয়েছে তা রাজ্য সরকার সামলে নিতে পারবে। মোদী সাহায্যের নাম করে ছবি তুলে নাটক করবেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীকে নিশানা করে মমতার পাল্টা কটাক্ষ, ওনার এক্সপেয়ারি ডেট পেরিয়ে গেছে। ওনার কাছ থেকে টাকা নেব কেন?
Comments are closed.