প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ মুখ্যমন্ত্রীর, মোদীকে সিএএ, এনআরসি, এনপিআর প্রত্যাহারের আবেদন করেছি, বললেন মমতা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কলকাতা সফরকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিক্ষোভ মিছিলের মধ্যেই শনিবার রাজভবনে মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীর সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে মমতা জানান, এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনপিআরের বিরুদ্ধে তাঁদের আন্দোলন জারি থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এই আইন ও নীতি প্রত্যাহার ও পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, ধর্মের ভিত্তিতে দেশে কোনও বৈষম্য হওয়া উচিত নয়। মানুষের উপর যাতে কোনও অত্যাচার না হয় তা দেখার দায়িত্ব আছে কেন্দ্রের। তাই এই আইন প্রত্যাহার করা হোক।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে বর্ণনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার সাংবিধানিক কর্তব্য প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি এলে তাঁদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করার। তবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তাঁদের আন্দোলন চলবে বলে জানিয়ে দেন মমতা।
পাশাপাশি, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের ৩৮ হাজার কোটি টাকা প্রাপ্য রয়েছে। তা নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বুলবুলের ত্রাণের টাকাও এখনও রাজ্যের হাতে আসেনি। তৃণমূল নেত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় আইন ও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি নিয়ে দিল্লিতে গেলে কথা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই জানান মমতা ব্যানার্জি। সিপিএম এবং কংগ্রেস মমতা-মোদীর বৈঠককে কটাক্ষ করেছে। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক কথা বলেন। বৈঠকে অন্য কথা বলেন। আসলে উনি সেটিং করতে গিয়েছিলেন। কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, সারদা-নারদা কেলেঙ্কারি থেকে যাতে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা বেঁচে যান, মোদীকে তিনি সে কথা বলতে গিয়েছিলেন।
Comments are closed.