CAA: মতুয়া সমাজের দাবিতে অস্বস্তিতে বিজেপি MP শান্তনু ঠাকুর, প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াব, মন্তব্য তৃণমূলের
দাঙ্গার ভয়ে CAA লাগু করতে পারছে না কেন্দ্র। এবার সরাসরি কেন্দ্রকে বিঁধলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তার পরেই ঠাকুরবাড়ির অন্যতম সদস্য তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, পারিবারিক সমস্যা থাকতেই পারে। মতের অমিলও হতে পারে। কিন্তু মতুয়াদের স্বার্থে শান্তনুর পাশে দাঁড়িয়ে লড়তে আপত্তি করব না। সবমিলিয়ে বর্ষ শেষে মতুয়া রাজনীতি ঘিরে নতুন করে জল্পনা।
নাগরিকত্ব ইস্যুতে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের উপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। CAA এর মাধ্যমে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু আইন পাশের ১ বছর কেটে গেলেও রুল ফ্রেম হয়নি। ২০ ডিসেম্বর বোলপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, করোনা শৃঙ্খল ভাঙ্গার পর সিএএ নিয়ে এগোনোর কথা ভাববে সরকার। অমিত শাহের এই মন্তব্য মতুয়াদের ক্ষোভের ধিকিধিকি আগুনকে আরও খানিকটা উস্কে দিয়েছে। কার্যত দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে ঠাকুরবাড়ির সদস্য তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের। রবিবার কালনার সভা থেকে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে আইন পাস হয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত লাগু হল না। ভয় কীসের? বিরোধিতার ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছেন? দাঙ্গার ভয় পাচ্ছেন? কেউ দাঙ্গা করলে আমরা বুঝে নেব।
শান্তনু ঠাকুরের এই মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, মতুয়া ক্ষোভ সামাল দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি? সম্পর্কে শান্তনুর জ্যেঠিমা তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর সোমবার একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন। সেখানে তিনি বলেন, আমরা মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব চাই। মতুয়াদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে শান্তনু ঠাকুরের পাশে দাঁড়াতে আপত্তি নেই বলেও জানান তিনি। তারপরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বর্তমান সাংসদকে প্রাক্তন সাংসদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসের রাজনৈতিক তাৎপর্য কী? তবে মমতাবালা ঠাকুর সিএএ নিয়ে একটি বাক্যও খরচ করেননি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, দলের কর্মসূচিতে গরহাজির থেকে নেতৃত্বকে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন শান্তনু। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে সিএএ নিয়ে ক্ষোভের আগুন কি বিধানসভা ভোটে বিজেপির মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠবে? দেওয়ালে পিঠ থেকে যাওয়া শান্তনু ঠাকুর কী করবেন? তৃণমূলের মমতাবালা ঠাকুরের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসের রাজনৈতিক তাৎপর্যই বা কী? সবমিলিয়ে ভোটের মুখে জমে উঠেছে মতুয়া রাজনীতি।
Comments are closed.