মঙ্গলবার কেওড়াতলা শ্মশানে চিত্র পরিচালক মৃণাল সেনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। তার আগে এদিন দুপুর ২ টো নাগাদ মৃণাল সেনের মরদেহ নিয়ে আসা হয় দেশপ্রিয় পার্কের কাছে। সেখানে চলচ্চিত্র জগতের বহু মানুষ তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা বিমান বসু, সুজন চক্রর্তীসহ বাম নেতৃত্ব। এরপর কেওড়াতলা শ্মশানের দিকে যাত্রা করা হয় তাঁর মরদেহ নিয়ে। পরিবারের ইচ্ছে মতো কোনও মালা বা পুষ্পস্তবক দেওয়া হয়নি তাঁর মরদেহে। তাঁর শেষ ইচ্ছানুযায়ী এবং পরিবারের ইচ্ছেতে কোনওরকম আড়ম্বর ছিল না দাহ পর্বে।
আগামী ৫ই জানুয়ারি পরিবারের তরফে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
রবিবার সকালে মৃত্যু হয় মৃণাল সেনের। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। দাদাসাহেব ফালকে, পদ্মভূষণসহ একাধিত সম্মানে সম্মানিত হন চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন।
১৯২৩ সালের ১৪ ই মে বাংলাদেশের ফরিদপুরে মৃণাল সেনের জন্ম। পড়াশোনার জন্য চলে আসেন কলকাতায়। ছাত্র জীবনেই কমিউনিস্ট পার্টির কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন মৃণাল সেন। তাঁর শেষ ছবি ছিল ২০০৩ সালে, আমার ভূবন। ১৯৯৮ সালে রাজ্যসভার সাংসদও হয়েছিলেন মৃণাল সেন।
Comments are closed.