সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসে রাশ টানল রাজ্য।
স্বাস্থ্যসচিব সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিলেন, কর্মস্থল থেকে ২০ কিলোমিটার দূরত্বের বাইরে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না সরকারি ডাক্তাররা। মেডিক্যাল কলেজগুলি সহ রাজ্যের ২৮টি সরকারি ডাক্তারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আরও ১৪০০ সরকারি হাসপাতাল, গ্রামীণ হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কমর্রত চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে এই নির্দেশ।
এর আওতায় আসবেন প্রায় ১৩ হাজার সরকারি ডাক্তার।
নির্দেশনামায় জানানো হয়েছে, প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে চাইলে চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি) নিতেই হবে। এছাড়া জেলায় জেলায় বহু সরকারি চিকিৎসকের আবাসনের সামনে রোজই দেখা যায় রোগীদের লম্বা লাইন। নিয়মকে না মেনে সরকারি কোয়ার্টারে চলে সমান্তরাল আউটডোর। লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করা সেই চিকিৎসকদেরও এদিন কড়া বার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। জানানো হয়েছে, সরকারি আবাসনে কোনওভাবেই প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা যাবে না।
স্বাস্থ্যদপ্তরের এক পদস্থ কর্তার দাবি, এটা নতুন কিছু নয়। সরকারি নিয়ম ছিলই। চিকিৎসকরা দুর্নীতিমুক্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা চাইছিলেন। সেই লক্ষ্যেই সরকারের এই পদক্ষেপ বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
দপ্তর সূত্রে খবর, ‘প্র্যাকটিস করি না’—একথা লিখিতভাবে জানিয়েও সরকারি ডাক্তারদের একাংশ লুকিয়ে চুরিয়ে চেম্বার চালান। পাশাপাশি মূল বেতনের ১৫ শতাংশ ‘নন প্র্যাকটিসিং অ্যালাউন্স’ হিসেবে পকেটস্থও করেন। সিনিয়র পদভেদে সেই টাকার অঙ্ক মাসে ১৬ থেকে ২২ হাজার টাকা! অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, প্যাথোলজি, ফার্মাকোলজি ও অন্যান্য শাখার শিক্ষক চিকিৎসকদের প্রায় সকলেই ‘নন প্র্যাকটিসিং অ্যালাউন্স’ নেন। কিন্তু এঁদেরও অন্তত ২০-৩০ শতাংশ চুটিয়ে রোগী দেখেন।অধিকাংশই তা করেন ডিউটি টাইমে।
Comments are closed.